নিয়োগ বাতিলের পরও বক্তব্যে অনড় নদী রক্ষা চেয়ারম্যান

,
নিয়োগ বাতিলের পরও বক্তব্যে অনড় নদী রক্ষা চেয়ারম্যান
নদী রক্ষা চেয়ারম্যান

‘জনস্বার্থে’ হঠাৎ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করেছে সরকার। এরপর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, আজকে মেঘনার ভূমিদস্যুর বিজয় হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে তিনি এ কথা বলেন।

নিজের দেওয়া বক্তব্যে অনড় থাকার কথা জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আজকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার সব ভূমিদস্যু, বালুদস্যু, দখলবাজের বিজয় হয়েছে।

‘মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর হাত রয়েছে’ এমন বক্তব্য দেওয়ার ২৪ দিন পর বুধবার (১৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নদী রক্ষা কমিশনের পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নদী দখলদারদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালি উত্তোলন করছেন, তাদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে।

জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, হায়েনারা দল বেঁধে মেঘনায় হামলে পড়েছে। মেঘনা থেকে আবার বালু তোলার চেষ্টা চলছে। এখানে শত শত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হবে। এতে নদীর ক্ষতি হবে, মাছের ক্ষতি হবে, পরিবেশের ক্ষতি হবে। এদের থেকে নদীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। কারও নাম উল্লেখ না করে মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রীর সঙ্গে এদের সম্পর্ক আছে।

তিনি বলেন, ইজারা দেওয়ার নামে কর্ণফুলী নদী বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা পরিষদ জড়িত। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তিনি আরও বলেন, কর্ণফুলী নদী পরিবেশের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী। একই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদী। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করে নদীর জমি খণ্ড খণ্ড করে মেরে ফেলা হচ্ছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিয়োগ বাতিলের পরও বক্তব্যে অনড় নদী রক্ষা চেয়ারম্যান

নিয়োগ বাতিলের পরও বক্তব্যে অনড় নদী রক্ষা চেয়ারম্যান
নদী রক্ষা চেয়ারম্যান

‘জনস্বার্থে’ হঠাৎ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করেছে সরকার। এরপর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, আজকে মেঘনার ভূমিদস্যুর বিজয় হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে তিনি এ কথা বলেন।

নিজের দেওয়া বক্তব্যে অনড় থাকার কথা জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আজকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার সব ভূমিদস্যু, বালুদস্যু, দখলবাজের বিজয় হয়েছে।

‘মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর হাত রয়েছে’ এমন বক্তব্য দেওয়ার ২৪ দিন পর বুধবার (১৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নদী রক্ষা কমিশনের পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নদী দখলদারদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যারা বালি উত্তোলন করছেন, তাদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে।

জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, হায়েনারা দল বেঁধে মেঘনায় হামলে পড়েছে। মেঘনা থেকে আবার বালু তোলার চেষ্টা চলছে। এখানে শত শত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হবে। এতে নদীর ক্ষতি হবে, মাছের ক্ষতি হবে, পরিবেশের ক্ষতি হবে। এদের থেকে নদীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। কারও নাম উল্লেখ না করে মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রীর সঙ্গে এদের সম্পর্ক আছে।

তিনি বলেন, ইজারা দেওয়ার নামে কর্ণফুলী নদী বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা পরিষদ জড়িত। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তিনি আরও বলেন, কর্ণফুলী নদী পরিবেশের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী। একই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদী। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করে নদীর জমি খণ্ড খণ্ড করে মেরে ফেলা হচ্ছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত