ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর আবারো সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল রবিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পরে আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় সংঘর্ষে সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে একজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দোকানে কেনাকাটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এলাকা চানগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তখন এলাকাবাসী স্থানীয় মসজিদের মাইক থেকে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘোষণা দেয়। তখন স্থানীয় লোকজন ক্যাম্পাসের ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
পরে শিক্ষার্থীরা বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন এবং সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেহেদী হাসান নামে আহত এক শিক্ষার্থীকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ খবর আসে, চানগাঁও এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে আমাদের সাত-আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কিছুদিন আগে শিক্ষার্থী অন্তর হত্যার জের ধরে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় বাজারে যে হামলা চালিয়েছিল, তাতে এলাকাবাসীর মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই স্থানীয়রা আজ সুযোগ পেয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
আশুলিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’