ওয়াজ-মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে রাতে ঘর থেকে বের হয়েছিল ১২ বছরের আবু বক্কার ওরফে আনন্দ। রাতে আর ফেরেনি আবু বক্কার। পরদিন সকালে নিজেদের ভাড়া নেওয়া সেচ পাম্প ঘরে মিলল আবু বক্কারের রক্তাক্ত মরদেহ। নিহতের চোখে ও অণ্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের গজারিয়া উত্তরপাড়ায় সেচ পাম্প ঘরের মধ্যে শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আবু বক্কার আনন্দ গজারিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও চর চিলগাছা উচ্চবিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
শিশুটিরর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে তার বন্ধু ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সকালে সেচপাম্প ঘরের মধ্যে তার ছেলের মরদেহ দেখে স্থানীয় কৃষকরা খবর দেয়। সেচ পাম্পটি আমরা ভাড়া নিয়ে চালাই, এ কারণে ওই সেচ পাম্প ঘরের চাবিটা আমার ছেলে আবু বক্কারের কাছেই থাকতো।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নান্নু খান ও পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস ঘটনাস্থল থেকে জানান, মরদেহের সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিশুটির চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে এবং অণ্ডকোষও রক্তাক্ত রয়েছে। আলামত সংগ্রহের জন্য পুলিশের ক্রাইম সিন বিভাগ ঘটনা স্থলে আসছে। আসার পর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।