ওষুধ উৎপাদনে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ওষুধ উৎপাদনে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে ভারত
ছবি: সংগৃহীত

ওষুধ উৎপাদনে দেশের ফর্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত সরকার। দেশে তৈরি কফ সিরাপ সেবনে গাম্বিয়া, উসবেকিস্তান ও ক্যামেরুনসহ কয়েকটি দেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর নতুন এই সিদ্ধান্ত।

সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন ওই মানদণ্ড অবশ্যই পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে। যদিও ঋণ রয়েছে অজুহাতে ছোট ছোট কোম্পানিগুলো এখনই তাদের উপর ওই মানদণ্ড অনুসরণের বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

গত বছর প্রায় পুরোটা জুড়েই ভারতের তৈরি কফ সিরাপ সেবনে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হইচই হয়েছে।

বিশ্বের বৃহৎ ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। অপেক্ষাকৃত সস্তায় বিশ্বজুড়ে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের যোগান দেওয়ার কারণে ভারতকে ‘বিশ্ব ফার্মাসি’ বলা হয়। নিজেদের এই ইমেজ এবং ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই শিল্পকে রক্ষা করতে তাই ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদী সরকার।

শনিবার প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বরের তারিখ দেওয়া ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “প্রস্তুতকারকদের অবশ্যই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলির গুণমানের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের প্রস্তুত করা ওষুধ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত, সেগুলো প্রয়োজনীয় মানদণ্ড অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলো গুণমান বা কার্যকারিতার কারণে রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে না। ”

এছাড়াও ওষুধ তৈরির উপাদানগুলোর মান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ‘সন্তোষজনক ফলাফল’ পাওয়ার পরই কেবল কোম্পানিগুলি তাদের চূড়ান্ত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। পণ্য তৈরির মধ্যবর্তী ও চূড়ান্ত পর্যায়ে পণ্যগুলির নমুনাও বার বার পরীক্ষা বা যাচাই করতে হবে।

গত আগস্টে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, তারা ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৬২টি ওষুধ কারখানা পরিদর্শন করেছে এবং দেখেছে, সেগুলোতে ‘ওষুধ তৈরির জন্য আসা কাঁচামালের মান যাচাই পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধ প্রস্তুত করার জন্য আন্তর্জাতিক একটি মান বেঁধে দিয়েছে। ভারতের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ছোট ওষুধ প্রস্তুতকারক কারখানার মধ্যে এক চতুর্থাংশেরও কম সেই মান পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বড় বড় কারখানাগুলোকে অবশ্যই আগামী ছয় মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করে নতুন মানদণ্ড অনুসরণে সক্ষম হয়ে উঠতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ওষুধ উৎপাদনে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে ভারত

ওষুধ উৎপাদনে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে ভারত
ছবি: সংগৃহীত

ওষুধ উৎপাদনে দেশের ফর্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত সরকার। দেশে তৈরি কফ সিরাপ সেবনে গাম্বিয়া, উসবেকিস্তান ও ক্যামেরুনসহ কয়েকটি দেশে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পর নতুন এই সিদ্ধান্ত।

সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নতুন ওই মানদণ্ড অবশ্যই পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছে। যদিও ঋণ রয়েছে অজুহাতে ছোট ছোট কোম্পানিগুলো এখনই তাদের উপর ওই মানদণ্ড অনুসরণের বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

গত বছর প্রায় পুরোটা জুড়েই ভারতের তৈরি কফ সিরাপ সেবনে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হইচই হয়েছে।

বিশ্বের বৃহৎ ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। অপেক্ষাকৃত সস্তায় বিশ্বজুড়ে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের যোগান দেওয়ার কারণে ভারতকে ‘বিশ্ব ফার্মাসি’ বলা হয়। নিজেদের এই ইমেজ এবং ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই শিল্পকে রক্ষা করতে তাই ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদী সরকার।

শনিবার প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বরের তারিখ দেওয়া ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “প্রস্তুতকারকদের অবশ্যই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলির গুণমানের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের প্রস্তুত করা ওষুধ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত, সেগুলো প্রয়োজনীয় মানদণ্ড অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে এবং সেগুলো গুণমান বা কার্যকারিতার কারণে রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে না। ”

এছাড়াও ওষুধ তৈরির উপাদানগুলোর মান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ‘সন্তোষজনক ফলাফল’ পাওয়ার পরই কেবল কোম্পানিগুলি তাদের চূড়ান্ত পণ্য বাজারজাত করতে পারবে। পণ্য তৈরির মধ্যবর্তী ও চূড়ান্ত পর্যায়ে পণ্যগুলির নমুনাও বার বার পরীক্ষা বা যাচাই করতে হবে।

গত আগস্টে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, তারা ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৬২টি ওষুধ কারখানা পরিদর্শন করেছে এবং দেখেছে, সেগুলোতে ‘ওষুধ তৈরির জন্য আসা কাঁচামালের মান যাচাই পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধ প্রস্তুত করার জন্য আন্তর্জাতিক একটি মান বেঁধে দিয়েছে। ভারতের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ছোট ওষুধ প্রস্তুতকারক কারখানার মধ্যে এক চতুর্থাংশেরও কম সেই মান পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বড় বড় কারখানাগুলোকে অবশ্যই আগামী ছয় মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করে নতুন মানদণ্ড অনুসরণে সক্ষম হয়ে উঠতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত