ড. ইউনূসের সাজার রায় স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ড. ইউনূসের সাজার রায় স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের সাজার রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আজ রোববার ওই আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন।

এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আবেদনটি দায়েরের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়।

পরে আবেদনকারীর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালতের অনুমতির পর হলফনামা করে বিকেলে আবেদনটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এ আবেদনের ওপর সোমবার শুনানি হতে পারে।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের ওই মামলায় গত ১ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পর আপিল করার শর্তে তাঁদের এক মাসের জামিন দেন একই আদালত। ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। একই সঙ্গে চারজনকে জামিন দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশের বৈধতা নিয়ে আবেদনটি করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রায় স্থগিত করার এখতিয়ার নেই আপিল আদালতের। আইনের যে ধারায় তাঁরা (ড. ইউনূসসহ চারজন) আপিল করেছেন, সে ধারায় পুরো রায় স্থগিতের কোনো বিধান নেই। রায়ে দুটি দিক থাকে। একটি সাজা ও অন্যটি দণ্ড। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন। এই অংশ অবশ্যই বাতিল হওয়া উচিত। কারণ, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ওই আবেদনের কপি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূসসহ চারজনের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে আবেদনটি করা হয়েছে হয়রানি করার জন্য। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে যখন ড. ইউনূসসহ চারজনের আপিল আবেদন করা হয়, সেখানে সাজা সাসপেন্ড চাওয়া হয়েছিল। এটি আবেদনে সুষ্পষ্টভাবে আছে। আপিল ট্রাইব্যুনালে তখন ওনারা (বাদীপক্ষের আইনজীবী) আপত্তি জানান যে সাসপেন্ডেড হবে না, স্টে হবে। উনিই (বাদীপক্ষের আইনজীবী) আপত্তি তুলেছেন, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আবার এসে এখানে ক্রিমিনাল রিভিশন (আবেদন) করলেন।’

আবেদনের প্রার্থনায় দেখা যায়, তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া সিদ্ধান্তের অংশবিশেষের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি ছাড়া প্রতিপক্ষ (ইউনূসসহ চারজন) যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার আরজিও রয়েছে আবেদনে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ড. ইউনূসের সাজার রায় স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন

ড. ইউনূসের সাজার রায় স্থগিতের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন
ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের সাজার রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আজ রোববার ওই আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন।

এর আগে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আবেদনটি দায়েরের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়।

পরে আবেদনকারীর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আদালতের অনুমতির পর হলফনামা করে বিকেলে আবেদনটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এ আবেদনের ওপর সোমবার শুনানি হতে পারে।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের ওই মামলায় গত ১ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পর আপিল করার শর্তে তাঁদের এক মাসের জামিন দেন একই আদালত। ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। একই সঙ্গে চারজনকে জামিন দেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশের বৈধতা নিয়ে আবেদনটি করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রায় স্থগিত করার এখতিয়ার নেই আপিল আদালতের। আইনের যে ধারায় তাঁরা (ড. ইউনূসসহ চারজন) আপিল করেছেন, সে ধারায় পুরো রায় স্থগিতের কোনো বিধান নেই। রায়ে দুটি দিক থাকে। একটি সাজা ও অন্যটি দণ্ড। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন। এই অংশ অবশ্যই বাতিল হওয়া উচিত। কারণ, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ওই আবেদনের কপি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ড. ইউনূসসহ চারজনের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে আবেদনটি করা হয়েছে হয়রানি করার জন্য। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে যখন ড. ইউনূসসহ চারজনের আপিল আবেদন করা হয়, সেখানে সাজা সাসপেন্ড চাওয়া হয়েছিল। এটি আবেদনে সুষ্পষ্টভাবে আছে। আপিল ট্রাইব্যুনালে তখন ওনারা (বাদীপক্ষের আইনজীবী) আপত্তি জানান যে সাসপেন্ডেড হবে না, স্টে হবে। উনিই (বাদীপক্ষের আইনজীবী) আপত্তি তুলেছেন, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আবার এসে এখানে ক্রিমিনাল রিভিশন (আবেদন) করলেন।’

আবেদনের প্রার্থনায় দেখা যায়, তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া সিদ্ধান্তের অংশবিশেষের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি ছাড়া প্রতিপক্ষ (ইউনূসসহ চারজন) যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার আরজিও রয়েছে আবেদনে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত