শহীদ মিনারে নেই পতাকা, স্টেন্ডারে মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

জাহাঙ্গীর আলম স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও
শহীদ মিনারে নেই পতাকা, স্টেন্ডারে মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নেই শহীদ মিনার। যে কারণে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছেন না এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় ৫২ ‘র ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকলেও প্রকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কোমলমতি বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকলেও বাঁশ, কাঠ ও পতাকা স্টেন্ডারে শহীদদের ছবি পোস্টার দিয়ে স্মৃতিসৌধ তৈরি করে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে সরেজমিনে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ২২ নং বাহের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,শহীদ মিনার নেই পতাকা স্টেন্ডারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিশু শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে জবা, গাঁদা ও ঘাস ফুল নিয়ে এসেছে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে তাদের শহীদ দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে শিশুরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাদের মধ্যে বাংলা ভাষায় সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, একুশের কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সমৃদ্ধ বলেন, ‘ভাষা শহীদরা মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেই আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি। আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার নেই। প্রতিবছর আমরা এভাবে পতাকা স্টেন্ডারে শহীদ মিনার বানিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।যদি এখানে একটি শহীদ মিনার থাকতো, তাহলে খুব সুন্দরভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারতাম।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিবারণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা সকল শিক্ষক শিক্ষিকা অটো শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ প্রয়োজন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুলে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।প্রতি বছর বিশেষ দিবস গুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে উৎসবের সহিত পালন করা হয়।স্হায়ী ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ আমাদের স্কুলসহ প্রতিটি স্কুলেই থাকা জরুরি বলে মনে করি। কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীদের দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহীদদের জীবনি সম্পর্কে জানাতে এবং দিবসগুলো পালনে উৎসাহিত করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্হায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি।

পার্শ্ববর্তী বাংলাগড় দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান জিসা বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। মাদরাসায় শহীদ মিনার না থাকায় আমরা শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে সম্মান জানাতে পারি না।

বাংলাগড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আজিজুর রহমান জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া করা হয়। শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারিনা। এখানকার পাশ্ববর্তী কোন স্কুলে স্হায়ী শহীদ মিনার না থাকায় অনেকেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এরমধ্যে শুধুমাত্র ৪৫টি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শহীদ মিনার। প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও রয়েছে নানা অযত্ন-অবহেলায়।

এছাড়াও উপজেলায় প্রায় ৫০টি কিন্ডারগার্টেন (কে,জি স্কুল) রয়েছে এগুলোর একটিতেও নেই কোনো শহীদ মিনার, বিশেষ দিবস গুলোতে থাকে না বিশেষ কোনো কর্মসূচি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১২টি কলেজ, ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টি কলেজে, ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। কিন্তু ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে কোনটিতেও শহীদ মিনার নেই।

ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে পারে না। অনেক প্রতিষ্ঠান শুধু জাতীয় পতাকা তুলে দায়িত্ব পালন করেন। ওইসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দিবসে কোনো আলোচনা না করায় মহান ভাষা আন্দোলন একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে কিছুই জানে না শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। আমি এখানে যোগদানের দুই বছরে শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করে ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোবারক হোসেন জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ দেয়া হয় না। স্থানীয়ভাবে অর্থ ব্যয় করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব না। সরকারি উদ্যোগে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা প্রয়োজন। তার পরও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উৎসাহিত করে কিছু প্রতিষ্ঠানে মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনসহ আলোচনা সভা করার জন্য অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়ে থাকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) রকিবুল হাসান জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অতি গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই বিষয়টি জেনেছি। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের প্রধান ও স্কুল পরিচালনা কমিটিকে উদ্বুদ্ধ করে উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শহীদ মিনারে নেই পতাকা, স্টেন্ডারে মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

শহীদ মিনারে নেই পতাকা, স্টেন্ডারে মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই নেই শহীদ মিনার। যে কারণে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছেন না এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় ৫২ ‘র ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকলেও প্রকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কোমলমতি বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকলেও বাঁশ, কাঠ ও পতাকা স্টেন্ডারে শহীদদের ছবি পোস্টার দিয়ে স্মৃতিসৌধ তৈরি করে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে সরেজমিনে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ২২ নং বাহের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,শহীদ মিনার নেই পতাকা স্টেন্ডারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিশু শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে জবা, গাঁদা ও ঘাস ফুল নিয়ে এসেছে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে তাদের শহীদ দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে শিশুরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাদের মধ্যে বাংলা ভাষায় সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, একুশের কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সমৃদ্ধ বলেন, ‘ভাষা শহীদরা মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেই আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি। আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার নেই। প্রতিবছর আমরা এভাবে পতাকা স্টেন্ডারে শহীদ মিনার বানিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।যদি এখানে একটি শহীদ মিনার থাকতো, তাহলে খুব সুন্দরভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারতাম।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিবারণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা সকল শিক্ষক শিক্ষিকা অটো শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ প্রয়োজন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কুলে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।প্রতি বছর বিশেষ দিবস গুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে উৎসবের সহিত পালন করা হয়।স্হায়ী ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ আমাদের স্কুলসহ প্রতিটি স্কুলেই থাকা জরুরি বলে মনে করি। কোমলমতি এসব শিক্ষার্থীদের দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহীদদের জীবনি সম্পর্কে জানাতে এবং দিবসগুলো পালনে উৎসাহিত করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্হায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি।

পার্শ্ববর্তী বাংলাগড় দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান জিসা বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। মাদরাসায় শহীদ মিনার না থাকায় আমরা শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে সম্মান জানাতে পারি না।

বাংলাগড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আজিজুর রহমান জানান, আমার প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া করা হয়। শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারিনা। এখানকার পাশ্ববর্তী কোন স্কুলে স্হায়ী শহীদ মিনার না থাকায় অনেকেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এরমধ্যে শুধুমাত্র ৪৫টি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শহীদ মিনার। প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে সেগুলোও রয়েছে নানা অযত্ন-অবহেলায়।

এছাড়াও উপজেলায় প্রায় ৫০টি কিন্ডারগার্টেন (কে,জি স্কুল) রয়েছে এগুলোর একটিতেও নেই কোনো শহীদ মিনার, বিশেষ দিবস গুলোতে থাকে না বিশেষ কোনো কর্মসূচি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১২টি কলেজ, ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৯টি মাদ্রাসা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ৪টি কলেজে, ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। কিন্তু ১৯টি মাদ্রাসার মধ্যে কোনটিতেও শহীদ মিনার নেই।

ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে পারে না। অনেক প্রতিষ্ঠান শুধু জাতীয় পতাকা তুলে দায়িত্ব পালন করেন। ওইসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দিবসে কোনো আলোচনা না করায় মহান ভাষা আন্দোলন একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে কিছুই জানে না শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ নেই। আমি এখানে যোগদানের দুই বছরে শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করে ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোবারক হোসেন জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ দেয়া হয় না। স্থানীয়ভাবে অর্থ ব্যয় করে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব না। সরকারি উদ্যোগে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন করা প্রয়োজন। তার পরও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উৎসাহিত করে কিছু প্রতিষ্ঠানে মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনসহ আলোচনা সভা করার জন্য অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়ে থাকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এন ও) রকিবুল হাসান জানান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো অতি গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই বিষয়টি জেনেছি। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের প্রধান ও স্কুল পরিচালনা কমিটিকে উদ্বুদ্ধ করে উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত