খেজুরের পর এবার চিনির দামও বেঁধে দিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চিনি সর্বোচ্চ ১৪০ টাকায় বিক্রি করা যাবে। তবে প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ দাম হবে ১৪৫ টাকা।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে স্বস্তিতে আসার চেষ্টায় আছে। বাজারে নিত্যপণ্যের কোনো স্বল্পতা নেই। চালের দাম নিয়েও কোনো অস্বস্তি নেই।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বমুখী। চিনি আমদানিতে ভারতের সঙ্গে কথা চলছে। দাম সব জায়গায় বেশি। তবে চিনির দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। রমজানে দেশের বাজারে নির্ধারিত দামেই চিনি বিক্রি হবে।”
দুই ধরনের খেজুরের দাম বেঁধে দিল সরকারদুই ধরনের খেজুরের দাম বেঁধে দিল সরকার
তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং হচ্ছে। ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলমান। খুব শিগগিরই তা দেশে আসবে।”
এছাড়া দুই ধরনের খেজুরের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। অতি সাধারণ খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা এবং জায়েদি খেজুরের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোমবার (১১ মার্চ) খেজুরের খুচরা মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এ স্মারক জারি করা হয়।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট সবশেষ চিনির দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছিল, প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত প্যাকেট চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে।