ঠাকুরগাঁওয়ে মরা গাছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

জাহাঙ্গীর আলম স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে মরা গাছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
প্রতীকি ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হরিপুর রাণীশংকৈল মহাসড়কের শান্তিপুর মোড়ের পাশে সড়ক ও জনপদের রোপণ করা অনেক পুরোনো মরে যাওয়া শিমুল গাছটি বিপদজনক ঝুঁকিতে রয়েছে । যার কারণে ঐ মহাসড়কে দিনরাত চলাচলকারী ছোট বড় যাত্রীবাহী যানবাহন, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যান, সিএনজি ও বাইসাইকেল যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার শান্তিপুর মহাসড়কের মোড়ে পথচারি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সমাজকর্মী ও বিএম কলেজের সহকারী প্রভাষক হাফিজুল ইসলাম বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার শান্তিপুর মোড়ে বহু বছর আগের রোপণকৃত শিমুল গাছটি অনেক দিন হলো মরে শুকিয়ে গেছে। গাছটি এলাকার মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রতিদিন রাণীশংকৈল -কাঠালডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল – হরিপুর মহাসড়কে কয়েক হাজার ছোটবড় যাত্রীবাহীসহ মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচল করে। অল্প বাতাসে গাছটির ডালপালাসহ ভেঙে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। গাছের নিচে থাকা অনেক দোকান ঘর সহ দোকানিরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত জীবিকার তাগিদে দোকান করে ।বিশেষ করে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা এবং সিএনজির মতো ছোট যানবাহনের যাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হালকা বাতাসেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে গাছটির। গাছটি দ্রুত কেটে না ফেললে যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

গাছটির নিচে থাকা সড়কের পাশে দোকানিরা বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই এই মোড়ে ব্যবসা করে আসছি। গাছটি জীবিত থাকা অবস্থায় ঝরের দিনে অনেক সময় ডাল ভেঙে পড়ত। আমরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। জীবিত ছিল বলে ঝুঁকি নিয়ে সেভাবেই দোকান করে এসেছি। এখন গাছটি মরে গেছে সামনে ঝড়ের দিন যেকোন সময় আমাদের দোকান ঘরের উপর গাছটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে মারা যাওয়া গাছের বড় ডাল ভেঙে রাস্তায় পড়ে। সেই সময় অল্পের জন্য অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি থেকে বেঁচে যান। আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে দোকান চালায়। ফলে মহাসড়কে নিরাপদে চলাফেরার জন্য মারা যাওয়া গাছটি অতিদ্রুত কর্তৃপক্ষের কেটে ফেলার অনুরোধ জানান তারা।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শান্তিপুর ক্রিড়া সংস্থার সদস্য ও উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে মারা যাওয়া শিমুল গাছটি সবসময় পথচারিদের ও স্থানীয় দোকানদারদের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো সময় পথচারীদের ওপর পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। গাছটি দ্রুত কেটে ফেলা উচিত বলে মনে করেন এই সমাজকর্মী।

রাণীশংকৈল হরিপুর মহাসড়কে রবিউল ইসলাম নামে এক সিএনজি চালক বলেন, বেশ কিছুদিন আগে মহাসড়কের বেইলি ব্রিজের পূর্বপাশে বৃষ্টির মধ্যে একটি বড় গাছের ডাল বাতাসে ভেঙে পড়ে।
এই সময় অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। ফলে মারা যাওয়া এসব গাছ মহাসড়কে পাশে রাখা উচিত নয়। মহাসড়কের পাশে যেকোন যায়গায় এধরনের গাছ থাকলে তা দ্রুত কেটে ফেলা উচিত বলে মনে করেন তিনি। নচেৎ ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জনসাধারণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুকিয়ে মারা যাওয়া বিপদজনক ঝুঁকিতে থাকা গাছটি কেটে ফেলার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ঠাকুরগাঁওয়ে মরা গাছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

ঠাকুরগাঁওয়ে মরা গাছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
প্রতীকি ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হরিপুর রাণীশংকৈল মহাসড়কের শান্তিপুর মোড়ের পাশে সড়ক ও জনপদের রোপণ করা অনেক পুরোনো মরে যাওয়া শিমুল গাছটি বিপদজনক ঝুঁকিতে রয়েছে । যার কারণে ঐ মহাসড়কে দিনরাত চলাচলকারী ছোট বড় যাত্রীবাহী যানবাহন, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ভ্যান, সিএনজি ও বাইসাইকেল যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে উপজেলার শান্তিপুর মহাসড়কের মোড়ে পথচারি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সমাজকর্মী ও বিএম কলেজের সহকারী প্রভাষক হাফিজুল ইসলাম বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার শান্তিপুর মোড়ে বহু বছর আগের রোপণকৃত শিমুল গাছটি অনেক দিন হলো মরে শুকিয়ে গেছে। গাছটি এলাকার মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রতিদিন রাণীশংকৈল -কাঠালডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল – হরিপুর মহাসড়কে কয়েক হাজার ছোটবড় যাত্রীবাহীসহ মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচল করে। অল্প বাতাসে গাছটির ডালপালাসহ ভেঙে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। গাছের নিচে থাকা অনেক দোকান ঘর সহ দোকানিরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত জীবিকার তাগিদে দোকান করে ।বিশেষ করে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা এবং সিএনজির মতো ছোট যানবাহনের যাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হালকা বাতাসেই ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে গাছটির। গাছটি দ্রুত কেটে না ফেললে যেকোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

গাছটির নিচে থাকা সড়কের পাশে দোকানিরা বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই এই মোড়ে ব্যবসা করে আসছি। গাছটি জীবিত থাকা অবস্থায় ঝরের দিনে অনেক সময় ডাল ভেঙে পড়ত। আমরা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। জীবিত ছিল বলে ঝুঁকি নিয়ে সেভাবেই দোকান করে এসেছি। এখন গাছটি মরে গেছে সামনে ঝড়ের দিন যেকোন সময় আমাদের দোকান ঘরের উপর গাছটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগে মারা যাওয়া গাছের বড় ডাল ভেঙে রাস্তায় পড়ে। সেই সময় অল্পের জন্য অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চালক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি থেকে বেঁচে যান। আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে দোকান চালায়। ফলে মহাসড়কে নিরাপদে চলাফেরার জন্য মারা যাওয়া গাছটি অতিদ্রুত কর্তৃপক্ষের কেটে ফেলার অনুরোধ জানান তারা।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শান্তিপুর ক্রিড়া সংস্থার সদস্য ও উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পাশে মারা যাওয়া শিমুল গাছটি সবসময় পথচারিদের ও স্থানীয় দোকানদারদের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো সময় পথচারীদের ওপর পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। গাছটি দ্রুত কেটে ফেলা উচিত বলে মনে করেন এই সমাজকর্মী।

রাণীশংকৈল হরিপুর মহাসড়কে রবিউল ইসলাম নামে এক সিএনজি চালক বলেন, বেশ কিছুদিন আগে মহাসড়কের বেইলি ব্রিজের পূর্বপাশে বৃষ্টির মধ্যে একটি বড় গাছের ডাল বাতাসে ভেঙে পড়ে।
এই সময় অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। ফলে মারা যাওয়া এসব গাছ মহাসড়কে পাশে রাখা উচিত নয়। মহাসড়কের পাশে যেকোন যায়গায় এধরনের গাছ থাকলে তা দ্রুত কেটে ফেলা উচিত বলে মনে করেন তিনি। নচেৎ ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম আমার সংবাদকে বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জনসাধারণের জানমাল রক্ষার স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুকিয়ে মারা যাওয়া বিপদজনক ঝুঁকিতে থাকা গাছটি কেটে ফেলার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত