ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় জাহেরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক কৃষকের ২৫ শতাংশ করলা ক্ষেত কেটে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।
২৫ মার্চ (সোমবার) দিবাগত রাতে উপজেলার ৭ নং রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই মালিভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে৷
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তেমন কোন জায়গা জমি না থাকায় অল্প জমিতে কিভাবে চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় তাই ভুক্তভোগী কৃষক জাহেরুল ইসলাম অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভের আশায় তার নিজস্ব ২৫ শতাংশ জমিতে করলা চাষ করে। বেশ ভালো আবাদ করেছেন তিনি আর কিছুদিন পর হতে গাছে ফলন আশা শুরু করতো। গতকাল সোমবার ইফতারের আগ মুহূর্তে ক্ষেত ভালো দেখে এসেছেন কৃষক জাহেরুল ।আজ সকালে দেখেন ভিন্ন চিত্র। তার করলা ক্ষেতের সমস্ত গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েক পরই পর্যায়ক্রমে তিনি অন্তত দেড় থেকে দুই লাখ টাকার করলা বিক্রি করতেন। এরই মাঝে সোমবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ২৫ শতাংশ জমির সবগুলো করলার গাছ কেটে ফেলে। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি।
এসময় স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান , জাহেরুল ইসলাম একজন সৎ ও গরীব কৃষক সে তার নিজস্ব অল্প জমিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চাষাবাদ তার সংসার চালান। তার রোপণ কৃত জমির করলা গাছ কেটে একটা অমানবিক কাজ করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করতেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষক জাহেরুল ইসলাম জানান , আমি আজ সকালে ক্ষেত দেখার জন্য জমিতে যাই। গিয়ে দেখি আমার জমিতে রোপণকৃত সমস্ত করলা গাছ কাটা। কে বা কাহারা কেটেছে আমি বলতে পারি না, আমি অনেক ধারদেনা করে খুব কষ্ট করে এই ২৫ শতাংশ জমিতে করলা চাষাবাদ করি। এতে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে ফসল রোপণ করতে সহযোগিতা করেছেন ছেলেটি খুব কষ্ট পেয়েছে শুধু কান্না করছেন। এই ক্ষতিতে আমি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছি, এই ফসল কর্তনে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। যদি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে একটু আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করতেন তাহলে হয়তো আমি একটু উপকৃত হতাম।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসলে এই ধরনের কাজ খুব জঘন্য ঘৃণিত কাজ। আমি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা মিটিংয়ে কৃষকের ক্ষেত নষ্ট করার বিষয়গুলো উত্থাপন করেছি।এসব বিষয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রশাসনিক কোন হস্তক্ষেপ করতে পারে না।তাই ভুক্তভোগী কৃষককে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।