অর্থনীতি বাঁচাতে ফের আইএমএফের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
অর্থনীতি বাঁচাতে ফের আইএমএফের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান

দীর্ঘ সময় ধরে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান৷ রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, অব্যস্থাপনা, কোভিড মহামারি, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ একসঙ্গে অর্থনীতিকে নাজুক করে তুলেছে৷

এমন অবস্থায় নবগঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আন্তর্জাতিক মুদ্র্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আরেক দফা উদ্ধার তহবিল পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ আর সেটি কতটা প্রয়োজনীয় তা বোঝাতে গিয়ে গত সপ্তাহে তিনি বলেছেন, ‘আইএমএফের আরেক দফা প্রকল্প ছাড়া আমরা টিকতে পারব না৷’

 

তার একদিন আগে ৩০০ কোটি ডলারের আগের প্রতিশ্রুত উদ্ধার তহবিলের শেষ কিস্তির ১১০ কোটি ডলার পাকিস্তানকে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইএমএফ কর্মকর্তারা৷ এরই মধ্যে সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসলামাবাদ আবেদন জানালে দেশটির জন্য মধ্য-মেয়াদি একটি ঋণ প্রকল্পের পরিকল্পনা তারা তৈরি করতে পারে৷ তবে পাকিস্তান সরকার এখনও পরবর্তী উদ্ধার তহবিলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রত্যাশিত ঋণের পরিমাণ জানায়নি৷

পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের অনেকেই নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন৷ সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছেন দরিদ্র মানুষেরা৷ ৩০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কারণে একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে, অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি কমে গেছে৷

দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠেকেছে ৮০০ কোটি ডলারে, যা মাত্র দুই মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে৷ এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত নড়বড়ে জোট সরকারের সামনে দেশটির অর্থনীতির পুরাতন কাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলার বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷

করাচিভিত্তিক ব্রোকারেজ কোম্পানি টপলাইন সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ সোহাইল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘সরকার দীর্ঘমেয়াদি আইএমএফ ঋণ পেলে এবং চুক্তির শর্তানুযায়ী কাজ করলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে৷’

তবে সমস্যা হলো আইএমএফের এ ধরনের তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে সাধারণত সরকারের ব্যয় কমানোর মতো অজনপ্রিয় কর্মসূচি ও অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের বাধ্যবাধকতা থাকে৷ পাকিস্তানকে এক্ষেত্রে গ্যাস ও বিদ্যুত খাতে দেওয়া ভর্তুকি তুলে দেওয়া, করের আওতা বৃদ্ধি এবং লোকসানে থাকা রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোকে বিক্রি করে দেওয়া লাগতে পারে, বলেন সোহাইল৷

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি বাঁচাতে ফের আইএমএফের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান

অর্থনীতি বাঁচাতে ফের আইএমএফের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান

দীর্ঘ সময় ধরে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান৷ রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, অব্যস্থাপনা, কোভিড মহামারি, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ একসঙ্গে অর্থনীতিকে নাজুক করে তুলেছে৷

এমন অবস্থায় নবগঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আন্তর্জাতিক মুদ্র্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আরেক দফা উদ্ধার তহবিল পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ আর সেটি কতটা প্রয়োজনীয় তা বোঝাতে গিয়ে গত সপ্তাহে তিনি বলেছেন, ‘আইএমএফের আরেক দফা প্রকল্প ছাড়া আমরা টিকতে পারব না৷’

 

তার একদিন আগে ৩০০ কোটি ডলারের আগের প্রতিশ্রুত উদ্ধার তহবিলের শেষ কিস্তির ১১০ কোটি ডলার পাকিস্তানকে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইএমএফ কর্মকর্তারা৷ এরই মধ্যে সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসলামাবাদ আবেদন জানালে দেশটির জন্য মধ্য-মেয়াদি একটি ঋণ প্রকল্পের পরিকল্পনা তারা তৈরি করতে পারে৷ তবে পাকিস্তান সরকার এখনও পরবর্তী উদ্ধার তহবিলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রত্যাশিত ঋণের পরিমাণ জানায়নি৷

পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষের অনেকেই নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন৷ সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছেন দরিদ্র মানুষেরা৷ ৩০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কারণে একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে, অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি কমে গেছে৷

দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠেকেছে ৮০০ কোটি ডলারে, যা মাত্র দুই মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে৷ এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত নড়বড়ে জোট সরকারের সামনে দেশটির অর্থনীতির পুরাতন কাঠামোগত সমস্যা মোকাবিলার বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷

করাচিভিত্তিক ব্রোকারেজ কোম্পানি টপলাইন সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ সোহাইল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘সরকার দীর্ঘমেয়াদি আইএমএফ ঋণ পেলে এবং চুক্তির শর্তানুযায়ী কাজ করলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে৷’

তবে সমস্যা হলো আইএমএফের এ ধরনের তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে সাধারণত সরকারের ব্যয় কমানোর মতো অজনপ্রিয় কর্মসূচি ও অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের বাধ্যবাধকতা থাকে৷ পাকিস্তানকে এক্ষেত্রে গ্যাস ও বিদ্যুত খাতে দেওয়া ভর্তুকি তুলে দেওয়া, করের আওতা বৃদ্ধি এবং লোকসানে থাকা রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোকে বিক্রি করে দেওয়া লাগতে পারে, বলেন সোহাইল৷

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত