আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় বাজারে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে হারে আমদানির দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে সেই হারে রেমিট্যান্স-রপ্তানি আয় আসছে না। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত তিন সপ্তাহে আরও কমেছে রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গেল ৬ মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। বুধবার (২৭ মার্চ) এ রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৪৫ কোটি ডলারে। যা ৬ মার্চ ছিল ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলারে।
অর্থাৎ ২১ দিনে গ্রোস রিজার্ভ কমেছে ১৫২ কোটি ডলার (১ দশমিক ৫২ বিলিয়ন) এবং বিপিএম-৬ কমেছে ১৬৯ কোটি ডলার (১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন)।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম। এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।