আমাদের সবার ভালোবাসার অনুভূতি আছে কিন্তু সবার ‘ভালোবাসা’ নামক এই আবেগের প্রকাশ এক রকম হয় না। অর্থাৎ, কেউ কেউ নিজের বা অন্যদের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ করে তাদের হৃদয় উন্মুক্ত করে, আবার কেউ তাদের আবেগ গোপন রাখতে চায়। এ ক্ষেত্রে ভালোবাসা প্রকাশে লজ্জা পান এমন অনেকেই ভুল বুঝেছেন। এমনকি সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে, শুধু আবেগ প্রকাশ করতে না পারার কারণেই সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব চলে আসে। তাই আজীবন দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্ককে মসৃণ ও মজবুত রাখতে কিছু বিষয় সবসময় মাথায় রাখতে হবে। কারণ কিছু ছোট কাজ বা আবেগ প্রকাশের স্টাইল দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক দিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১. একে অপরের সাথে দৈনন্দিন ঘটনা শেয়ার করুন
আজকাল, আমরা সবাই আমাদের কর্মজীবনে ব্যস্ত এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবন ভুলে যাই। এমনকি অর্থের আসক্তি অজান্তেই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের গুরুত্বকে হ্রাস করেছে। যার কারণে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব দেখা দেয়। তাই অফিসে যাওয়ার বা ঘুমানোর আগে বা টিফিন বিরতির সময় অন্তত ১০ মিনিট সময় বের করুন এবং আপনার সঙ্গীর সাথে কথা বলুন।
২. একসাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করুন
যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হওয়া স্বাভাবিক। বিশেষ করে আমরা যেমন দেখেছি প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ক কষ্ট ছাড়া শেষ হয় না। তাই প্রেমকে গভীর করার অন্যতম উপায় হল একসাথে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা।
৩. চল একটি দুঃসাহসিক কাজে
এই পদ্ধতিটি প্রেমকে গভীর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে প্রমাণিত হয়েছে। ব্যস্ততার সাথে বিবাহিত জীবনের রঙ সময়ের সাথে ফিকে হয়ে যায়। এবং ফলাফল একটি সম্পর্কে বিপর্যয়। তাই সম্পর্কটি ৩ মাস বা ৩০ বছরেরই হোক না কেন, আপনার ব্যস্ত দৈনন্দিন রুটিন থেকে কয়েক দিন সময় নিন এবং এটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একটি ছোট অ্যাডভেঞ্চার বা একটি রোমাঞ্চকর ছোট ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন।
৪. ক্রিয়াগুলি পুনরাবৃত্তি করুন যা আপনাকে পুরানো সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়:
যে কোনো বিয়ে বা প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে বিশেষ কিছু দিন এবং স্মৃতি থাকে। তাই বিশেষ দিনগুলি মনে রাখবেন এবং আপনি অতীতে সেই দিনটি কীভাবে উদযাপন করতেন বা আপনার সঙ্গীর সাথে একটি ব্যতিক্রমী সারপ্রাইজ দিয়ে নতুন স্মৃতি তৈরি করতেন তা পুনরাবৃত্তি করুন এবং যখন স্মৃতির কথা আসে, আমি আপনাকে একটি বিশেষ পরামর্শ দিই।
৫। ক্রিয়াকলাপগুলিতে জড়িত হন যা উভয়ই উপভোগ করবে
দুই পক্ষ রাজি না হলে এভাবেই শেষ হয়ে যায় প্রেমের সম্পর্ক। একইভাবে, বিয়েতে দুই জনের রুচি বা পছন্দের হাজারো পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও অন্তত ১-২ টি মিল থাকবে যা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। তাই অবসর ক্রিয়াকলাপে নিয়োজিত যা আপনি উভয়ই উপভোগ করবেন।
৬. একটি খোলা কথোপকথন করুন
কথোপকথন হল দম্পতিরা তাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার প্রাথমিক উপায়গুলির মধ্যে একটি। আবার কম যোগাযোগের ফলে সম্পর্কের বন্ধন শিথিল হয়ে যায়। তাই রাগ, লজ্জা, দুঃখ, আনন্দ, ভালোবাসা ইত্যাদি অনুভূতি গোপন না করে আপনার সঙ্গীর কাছে প্রকাশ করুন। নিজেকে সঠিকভাবে জানুন। অন্য কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। কারণ আপনি যদি নিজেকে ভালোবাসেন তবেই আপনি লাজুক প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে আসবেন এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন। সেই সঙ্গে কে কী ভাবল তা মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে। আর নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে মন খারাপ করার প্রবণতাও অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে। তাই নিজের চাহিদা, ইচ্ছা, অপছন্দ বোঝার চেষ্টা করুন। যাতে আপনি আপনার সঙ্গীর কাছে আপনার আবেগগুলি আরও ভালভাবে প্রকাশ করতে পারেন। আবেগ এবং কথোপকথন যত পরিষ্কার হবে, আপনি একে অপরকে তত ভাল বুঝতে এবং ভালোবাসতে পারবেন। এক্ষেত্রে একটা কথা মাথায় রাখবেন। আপনি যদি নিজেকে বুঝতে বা আবেগ সনাক্ত করতে অক্ষম হন তবে আপনার অন্য পক্ষের কাছ থেকে সঠিক বোঝার আশা করা উচিত নয়।
৭. প্রতিদিন একসাথে খাবার খান
কথায় বলে, পেটের ভেতর দিয়েই হৃদয়ে যাওয়ার পথ। অর্থাৎ ভালো খাবার রান্না করে খেলে ভালোবাসা বাড়ে। তবে শুধু রান্না আর খাওয়া নয়, প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দিনের অন্তত একটি খাবার অর্থাৎ সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার একসঙ্গে খেতে হবে।
৮. নিজেকে সঠিকভাবে জানুন
অন্য কাউকে ভালোবাসতে হলে আগে নিজেকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। কারণ আপনি যদি নিজেকে ভালোবাসেন তবেই আপনি লাজুক প্রকৃতি থেকে বেরিয়ে আসবেন এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন। সেই সঙ্গে কে কী ভাবল তা মাথা থেকে বেরিয়ে যাবে। আর নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে মন খারাপ করার প্রবণতাও অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে। তাই নিজের চাহিদা, ইচ্ছা, অপছন্দ বোঝার চেষ্টা করুন। যাতে আপনি আপনার সঙ্গীর কাছে আপনার আবেগগুলি আরও ভালভাবে প্রকাশ করতে পারেন। আবেগ এবং কথোপকথন যত পরিষ্কার হবে, আপনি একে অপরকে তত ভাল বুঝতে এবং ভালোবাসতে পারবেন। এক্ষেত্রে একটা কথা মাথায় রাখবেন। আপনি যদি নিজেকে বুঝতে বা আবেগ সনাক্ত করতে অক্ষম হন তবে আপনার অন্য পক্ষের কাছ থেকে সঠিক বোঝার আশা করা উচিত নয়।
৯. মোবাইল দূরে রাখুন এবং ফোকাস করুন
বর্তমানে সারা বিশ্বের মানুষ মোবাইল ফোনে আসক্ত। এই ক্ষুদ্র যন্ত্রটি একটি ‘লাইভ সেভার’ হিসাবে কাজ করে, এটি সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব আনতে পর্দার আড়ালে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে
১০. মনের মধ্যে রাগ নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না
দাম্পত্য জীবনে কলহ আছে। এটাও ভালোবাসা প্রকাশের একটা ভিন্ন দিক। কিন্তু একচেটিয়া দূষণ অত্যধিক হলে প্ররোচিত করবেন না। উল্টো প্রয়োজনে সঙ্গীর রাগ ভেঙে এগিয়ে যান। এছাড়াও, অনেকের মধ্যে রেগে গেলে কথা বলা বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে থাকার প্রবণতা থাকে। যদি আপনি করেন, আপনার আচরণ সংশোধন করুন। কারণ মনের মধ্যে রাগ করে ঘুমাতে যাওয়া আপনার শরীর, মন এবং সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।