ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলমারাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে এসব কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুরে কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের প্রচেষ্টায় ১ জনকে ৩ দিন ও অপর ১ জনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নাবালক প্রমাণিত হওয়ায় অপর ১ জনকে মুচলেকার মাধ্যমে বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় কসবা উপজেলার আকছিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মো. সজিব (২২) নামে এক জাল ভোটারকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও এক প্রার্থীর এজেন্ট মো. আমজাদকে (৪০) ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কুটি ইউনিয়নের কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ায় পারভেজ মিয়া (২২) নামের একজনকে ৫ দিনের, বিনাউটি ইউনিয়নের জামিয়া ছানি ইউনুছিয়া মাদরাসা ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে সিল দেওয়া ব্যালটের ছবি তোলায় সাইফুল ইসলাম, মো. শাকিল, মো. রহমতুল্লা ও মো. রাসেলকে ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুই জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের হাতুরাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ায় মো. আমানুল্লাহ, মো. আলম, মো. নুরে আলম, মো. বাতেন মিয়া, আবু নাইম, জাবেদ মিয়া, ওবায়দুল হক, নূর আলম ও মো. পারভেজকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দুপুর দেড়টার দিকে আখাউড়ায় শহিদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ (পুরাতন ভবন) পুরুষ ভোটকেন্দ্রের দুই নম্বর ভোটকক্ষের গোপন কক্ষে ঢুকে অন্য ভোটারের ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে মাইক প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগের পোলিং এজেন্ট মাহবুব মিয়াকে ৭ দিনের বিনাশ্রম করাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই কেন্দ্রে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আলীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিকেলে আখাউড়া ছতুরার চান্দপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে অবৈধভাবে গোপনকক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে সিয়াম চৌধুরী (২০) নামের এক তরুণকে দণ্ডবিধির ১৭১ (চ) ধারায় ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
