ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনকে ভুল করে দাবি করে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা স্টেসি গিলবার্ট। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পদত্যাগের এই কারণ জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর এই কর্মকর্তা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্টেলি গিলবার্ট বলেছেন, মার্কিন সরকারের একটি প্রতিবেদনের কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গাজায় মানবিক ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা আটকে দিচ্ছে না। এটিকে ভুল বলছেন এই কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলনীতির প্রতিবাদে পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিবেদন তৈরিতে বিশেষজ্ঞ স্টেসি বলেছেন, ওই প্রতিবেদনে যা আছে তা ভুল।
২০ বছর ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন স্টেসি। মঙ্গলবার ছিল তার শেষ কর্মদিবস।
জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে গাজায় সহায়তা পাঠানো এবং তা বিতরণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কথা বলে আসছে। গাজায় ফিলিস্তিনি মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর এবং মানবিক সংকট ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য সমালোচকরা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ ও গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে দোষারোপ করে আসছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি মাসের শুরুর দিকে কংগ্রেসে ৪৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পেশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, ৭ অক্টোবরের পর যুক্তরাষ্ট্র ও গাজায় মানবিক সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার অপর উদ্যোগগুলোকে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে এতে উল্লেখ করা হয়েছে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইনের কোনও লঙ্ঘন হয়নি। ওই আইন অনুসারে, মানবিক সহযোগিতা আটকে দেওয়া দেশগুলোতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার বিধান রয়েছে।
গিলবার্ট বলেছেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার দিনই আমি পদত্যাগের বিষয়টি আমার কার্যালয়কে জানাই।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, সত্যকে বিকৃত করার মতো প্রশাসন আমরা নই। যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।
এর আগে আরও কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়েলনীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।