বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা করফুলি বেওয়া আর নেই

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা করফুলি বেওয়া আর নেই
করফুলি বেওয়া

শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বাসিন্দা বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা করফুলি বেওয়া (৭৮) আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ১১টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)।

করফুলি বেওয়া দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি সোহাগপুর বিধবাপল্লীর শহীদ রহিম উদ্দিনের স্ত্রী ছিলেন।

বাদ এশা সোহাগপুর বিধবাপল্লীর মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিধবাপল্লীর কবরস্থানে করফুলি বেওয়ার লাশ দাফন করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, এসডিএফ চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক, পৌর মেয়র মো. আবু বক্কর, সাংবাদিক এম এ হাকাম হীরা শোকপ্রকাশ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের মানুষের ওপর তাণ্ডব চালায়। তাদের নির্বিচার গুলিবর্ষণ আর বেয়নেট চার্জে ১৮৭ জন নিরীহ পুরুষ নিহত হয়। শহীদ রহিম উদ্দিন ছিলেন তাদের একজন। পাক হানাদারদের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন শহীদ পরিবারের ১২ গৃহবধূ। পরে সরকার তাদের বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সোহাগপুর বিধবাপল্লী বড় ট্র্যাজেডি দখল করে আছে। সোহাগপুর বিধবাপল্লীর ওই গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়েত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা করফুলি বেওয়া আর নেই

বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা করফুলি বেওয়া আর নেই
করফুলি বেওয়া

শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত সোহাগপুর বিধবাপল্লীর বাসিন্দা বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধা করফুলি বেওয়া (৭৮) আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ১১টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)।

করফুলি বেওয়া দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি সোহাগপুর বিধবাপল্লীর শহীদ রহিম উদ্দিনের স্ত্রী ছিলেন।

বাদ এশা সোহাগপুর বিধবাপল্লীর মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিধবাপল্লীর কবরস্থানে করফুলি বেওয়ার লাশ দাফন করা হয়েছে। তার মৃত্যুতে সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, এসডিএফ চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব আব্দুস সামাদ ফারুক, পৌর মেয়র মো. আবু বক্কর, সাংবাদিক এম এ হাকাম হীরা শোকপ্রকাশ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের মানুষের ওপর তাণ্ডব চালায়। তাদের নির্বিচার গুলিবর্ষণ আর বেয়নেট চার্জে ১৮৭ জন নিরীহ পুরুষ নিহত হয়। শহীদ রহিম উদ্দিন ছিলেন তাদের একজন। পাক হানাদারদের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন শহীদ পরিবারের ১২ গৃহবধূ। পরে সরকার তাদের বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সোহাগপুর বিধবাপল্লী বড় ট্র্যাজেডি দখল করে আছে। সোহাগপুর বিধবাপল্লীর ওই গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়েত নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত