নয়াদিল্লিতে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রিট্রিটে হাছান মাহমুদ

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
নয়াদিল্লিতে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রিট্রিটে হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীন সফর শেষে বুধবার (১০ জুলাই) রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক-কে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই আঞ্চলিক জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অপরদিকে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া লামসাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বা বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ’ সংক্ষেপে বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে সৃষ্ট এই জোটের সদস্য। ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন।

বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরো অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নয়াদিল্লিতে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রিট্রিটে হাছান মাহমুদ

নয়াদিল্লিতে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রিট্রিটে হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীন সফর শেষে বুধবার (১০ জুলাই) রাতে বেইজিং থেকে সরাসরি দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী এই রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিমসটেক-কে আরও শক্তিশালী করা এবং আসন্ন ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনকে সফল ও ফলপ্রসূ করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। নেপালের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই আঞ্চলিক জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংযোগ এবং সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য আমদানিতে সুবিধা বজায় রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অপরদিকে, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন। নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সেওয়া লামসাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

উল্লেখ্য, বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বা বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ’ সংক্ষেপে বিমসটেক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে সৃষ্ট এই জোটের সদস্য। ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বিমসটেকের সদর দপ্তর উদ্বোধন করেন।

বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্যসম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরো অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের আওতাভুক্ত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত