কোটাবিরোধী আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা ধৈর্য ধরছি। সময় মতো সব কিছুই দেখবেন, সময় মতো যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে কোটা আন্দোলনকারীরা সারা দেশে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পেয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা প্রশাসনিক দুর্বলতা না, আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানে দুর্বলতা না। আমরা জোর করে আন্দোলনের ওপর চড়াও হবো, তখন আপনি কী প্রশ্ন করতেন?
তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে জনজীবনে কোনও প্রকার দুর্ভোগ সরকার মেনে নেবে না। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবমাননা আমরা বেঁচে থাকতে সহ্য করবো না।
আন্দোলনকারীদের আদালতের চূড়ান্ত রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরার অনুরোধ করে কাদের বলেন, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যারা ক্ষমতার মঞ্চের পরিবর্তনের দিবা স্বপ্ন দেখছেন, যা অচিরেই কর্পূরের মতো উবে যাবে। যে আন্দোলনের জনগণের সম্পৃক্ত নেই, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যে আন্দোলন টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে, সেই আন্দোলন আমরা মোকাবিলা করবো, প্রতিহত করবো এবং পরাস্ত করবো।
২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনেও বিএনপি রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সে আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়। জনগণের অবস্থানের কাছে তারা পরাস্ত হতে বাধ্য হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর প্রমুখ।