সরকার মাছ রপ্তানি আয় বাড়ানোর টার্গেট নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে আমরা মাছ রপ্তানি করছি। এখন আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি আয় বাড়ানো।
বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, মাছ হবে আমাদের দ্বিতীয় প্রধান অর্থনৈতিক মুদ্রা অর্জনের খাত। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন রপ্তানির দিকে মনোযোগী হতে হবে। সকল নদী, নালা, খাল, বিল মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। পুরাতন ও পরিত্যক্ত পচা, ডোবা, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে যাতে মাছের উৎপাদন কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি।
‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে জানিয়ে মৎস্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাছে চাষের উপযোগী যতো স্থান আছে খুঁজে বের করে মাছ চাষের আওতায় আনতে হবে। তাহলেই ২০৩০ সালে ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আমরা অর্জন করতে পারবো।
নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষতিকর কারেন্ট জাল, বেহুন্দী জাল, চায়না জালের ব্যবহার বন্ধের জন্য তিনি এ সময় সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী জানান, এ বছর মৎস্য খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭টি ক্যাটাগরিতে ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে স্বর্ণপদক ৬টি, রৌপ্যপদক ৮টি ও ৮ টি ব্রোঞ্জপদক রয়েছে। এ পুরস্কার প্রদানের ফলে মাছ চাষে উদ্যেক্তা ও মৎস্য চাষীরা অনুপ্রাণিত হবে বলে তিনি এ সময় মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান শেষে মন্ত্রী নৌ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহসেনা বেগম তনু ও বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।