ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রবিবার (১১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) তিনি এই কথা বলেন। শনিবার দিবাগত রাতে কিয়েভে এই হামলা চালায় রাশিয়া। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা বলতে পারি, রুশ আক্রমণে উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। যা ছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পরিচালিত আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা।’
বিশেষজ্ঞরা অস্ত্রটির বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে এখনও কাজ করছেন বলেও তিনি জানান।
কিয়েভে চালানো এই রুশ হামলায় ৪ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানসহ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাজধানীর পূর্বদিকে এক কিশোরসহ ৩ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, মস্কোর হামলায় ৫৭টি ইরানি ড্রোনও ছিল। এগুলোর মধ্যে ৫৩টি তারা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত ৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের ১ টি ছিল উত্তর কোরীয় কেএন-২৩। তবে অপর ৩টি অস্ত্রের বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি।
এই ঘটনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বৈধভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যেকোনও দেশে অস্ত্র বাণিজ্য নিষিদ্ধ। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো রুশ হামলায় উত্তর কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হয় বলে কিয়েভের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে একাধিকবার দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়া হামলা করেছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনছে রাশিয়া। তবে পিয়ংইয়ং ও মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।