কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আলোচনায় থাকা কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) শীর্ষ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (২১ আগস্ট) পার্লামেন্ট ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এই আধাসামরিক বাহিনীকে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা ভারতজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

সিআইএসএফ-এর শীর্ষ কর্মকর্তা কে প্রতাপ সিং সকালে হাসপাতালে বলেন, আমাদের কাজ করতে দিন। আমরা এখানে কিছু দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। কাজ শেষ হলে শীর্ষ কর্মকর্তারা আপনাদের ব্রিফ করবেন।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা পুলিশের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৫ আগস্টের সেই ঘটনার পর হাসপাতালের বেশিরভাগ চিকিৎসক ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। আদালত নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে যাতে চিকিৎসকরা ফিরে এসে রোগীদের চিকিৎসা করতে পারেন।

এদিকে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল কোনও আপত্তি করেননি।

হাসপাতালে চিকিৎসকদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।

বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে ষষ্ঠ দিনের জন্য সিবিআই কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ ৯ আগস্ট সেমিনার হলে ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়ার পর পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন।

গত পাঁচ দিনে তাকে মোট ৬৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে, রাজ্য সরকার সন্দীপ ঘোষের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালনকালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছে।

হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।

পিটিআই সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে দুজন সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং একজন পরিদর্শক রয়েছেন। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি হাসপাতালের বিক্ষোভকারী নারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন ঘটনার দুই দিন আগে রাতের ডিউটিতে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনার দুই দিন আগে রাতের ডিউটিতে ছিলাম। রাজ্য পরিচালিত হাসপাতালে দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং বিশ্রামের সময় না পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই সুযোগ পেলে সেখানে আমরা বিশ্রাম নিতাম। এটি আমাদের মধ্যে যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারত। এখনও যে কেউ এমন ঘটনার শিকার হতে পারেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আলোচনায় থাকা কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভারতের কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর (সিআইএসএফ) শীর্ষ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। বুধবার (২১ আগস্ট) পার্লামেন্ট ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এই আধাসামরিক বাহিনীকে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা ভারতজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

সিআইএসএফ-এর শীর্ষ কর্মকর্তা কে প্রতাপ সিং সকালে হাসপাতালে বলেন, আমাদের কাজ করতে দিন। আমরা এখানে কিছু দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। কাজ শেষ হলে শীর্ষ কর্মকর্তারা আপনাদের ব্রিফ করবেন।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা পুলিশের প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৫ আগস্টের সেই ঘটনার পর হাসপাতালের বেশিরভাগ চিকিৎসক ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। আদালত নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে যাতে চিকিৎসকরা ফিরে এসে রোগীদের চিকিৎসা করতে পারেন।

এদিকে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল কোনও আপত্তি করেননি।

হাসপাতালে চিকিৎসকদের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।

বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে ষষ্ঠ দিনের জন্য সিবিআই কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ ৯ আগস্ট সেমিনার হলে ওই চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়ার পর পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন।

গত পাঁচ দিনে তাকে মোট ৬৪ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে, রাজ্য সরকার সন্দীপ ঘোষের প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালনকালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করেছে।

হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।

পিটিআই সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে দুজন সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং একজন পরিদর্শক রয়েছেন। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি হাসপাতালের বিক্ষোভকারী নারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন ঘটনার দুই দিন আগে রাতের ডিউটিতে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনার দুই দিন আগে রাতের ডিউটিতে ছিলাম। রাজ্য পরিচালিত হাসপাতালে দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং বিশ্রামের সময় না পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই সুযোগ পেলে সেখানে আমরা বিশ্রাম নিতাম। এটি আমাদের মধ্যে যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারত। এখনও যে কেউ এমন ঘটনার শিকার হতে পারেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত