কোন প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো চীন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
কোন প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো চীন?

চীনের সাম্প্রতিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা কেবল রাজনৈতিক বার্তা দিতে নয়, বরং দেশটির সামরিক প্রয়োজন মেটানোর দিকেও ইঙ্গিত করে। ২৫ সেপ্টেম্বরের এই পরীক্ষা চীনের পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে অত্যাবশ্যক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চীনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রকেট ফোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাইনান দ্বীপ থেকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। দূরবর্তী ঘাঁটি ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদিও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি চীনের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের সম্প্রসারণের রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। তবু এর মূল উদ্দেশ্য ছিল চীনের পরমাণু প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর কিনা তা নিশ্চিত করা।

চীন পরীক্ষার আগে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও নিউ জিল্যান্ডকে অবহিত করেছিল। এটি কৌশলগত কূটনীতির অংশ। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, যদি চীন ভবিষ্যতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনা করে তবে আরও আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতার প্রয়োজন হবে। অস্ট্রেলিয়া পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে শুধু কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছিল, কিন্তু বিস্তারিত জানানো হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মতো অস্ট্রেলিয়াও চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে এবং এই অঞ্চলে এমন পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক হ্যান্স ক্রিস্টেনসেন বলেন, সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা পুরো সিস্টেমের কার্যকারিতা যাচাই করে।

সম্প্রতি পিএলএ রকেট ফোর্স ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০২১ সালে পেন্টাগনের তথ্যমতে, চীন প্রায় ১৩৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এগুলোর বেশিরভাগই দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের মরুভূমিতে আঘাত হেনেছে। তবে ১৯৮০ সালের পর থেকে চীন তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলো এমনটি নিয়মিত করে থাকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র, ওয়ারহেড ও সিলোর পরিমাণ ও মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ পাল্লার পরীক্ষাই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও এর ওয়ারহেডের নির্ভুলতা ও কার্যকারিতা যাচাই করতে পারে। এই ধরনের পরীক্ষা সমুদ্রে পরিচালিত হলে চীনের স্যাটেলাইট ও স্পেস ট্র্যাকিং স্টেশনগুলোর মাধ্যমে মনিটর করা হয়। এর মধ্যে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত দ্বীপ ও নামিবিয়া এবং আর্জেন্টিনার ঘাঁটিও অন্তর্ভুক্ত।

পরীক্ষার কৌশলগত গুরুত্ব

বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, চীনের দুটি উন্নতমানের ‘স্পেস সাপোর্ট’ জাহাজ, ইউয়ান-ওয়াং ৩ এবং ইউয়ান-ওয়াং ৫ পরীক্ষার সময় প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করছিল। জাহাজগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম ছিল। ইউয়ান-ওয়াং ৩ নাউরুর উত্তর-পশ্চিমে এবং ইউয়ান-ওয়াং ৫ টোকেলাও দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থান করছিল।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেড সাগরের নির্ধারিত এলাকায় পতিত হয়েছে। তবে কোথায় আঘাত করেছে তা স্পষ্ট করেনি। ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, এটি ফ্রান্সের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকার কাছে পতিত হয়েছে। যা হাইনান থেকে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার দূরে।

লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র গবেষক টিমোথি রাইট বলেন, এই পরীক্ষা পিএলএকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা যাচাইয়ের একটি দুর্দান্ত সুযোগ দিয়েছে। চীনের স্যাটেলাইট, গ্রাউন্ড স্টেশন এবং ট্র্যাকিং শিপের নেটওয়ার্ক এখনও বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে এবং এর মহাকাশ ভিত্তিক আইএসআর (ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেইল্যান্স ও রিকনেসান্স) ক্ষমতা কতটা কার্যকর তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের মতে, পিএলও এই পরীক্ষায় পুরনো ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-৩১ ব্যবহার করেছে। হাইনান থেকে উৎক্ষেপণ করা হলেও ক্ষেপণাস্ত্রটি অন্যান্য দেশের আকাশসীমা এড়িয়ে গিয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, হাইনান থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দূরে সিচুয়ান প্রদেশের ইয়িবিনে অবস্থিত একটি রকেট ফোর্স ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

যদি চীন উত্তর এশিয়া বা আর্কটিকের ওপর দিয়ে উত্তর আটলান্টিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, তা ভৌগোলিক ও কূটনৈতিকভাবে আরও জটিল হবে। জাপান ও ফিলিপাইন্সকে সম্ভাব্য মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের মধ্যে পতিত হতে পারে বলে অবহিত করা হয়েছিল। তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের কিছু দেশকে চীন কোনও তথ্য দেয়নি। কিরিবাতির প্রেসিডেন্ট পরীক্ষার পর মঙ্গলবার চীনের সমালোচনা করে বলেছেন, তাদেরকে কোনও পূর্ব তথ্য জানানো হয়নি।

সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেমস চার বলেন, ঘনঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার ফলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং অন্যদের নজরদারি থেকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা আড়াল করতে চেষ্টা করে বেইজিং এবং এই বিষয়ে দেশটি খুব সতর্ক।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কোন প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো চীন?

কোন প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো চীন?

চীনের সাম্প্রতিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা কেবল রাজনৈতিক বার্তা দিতে নয়, বরং দেশটির সামরিক প্রয়োজন মেটানোর দিকেও ইঙ্গিত করে। ২৫ সেপ্টেম্বরের এই পরীক্ষা চীনের পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে অত্যাবশ্যক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চীনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) রকেট ফোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হাইনান দ্বীপ থেকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রটি এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। দূরবর্তী ঘাঁটি ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। যদিও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাটি চীনের পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের সম্প্রসারণের রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। তবু এর মূল উদ্দেশ্য ছিল চীনের পরমাণু প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর কিনা তা নিশ্চিত করা।

চীন পরীক্ষার আগে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও নিউ জিল্যান্ডকে অবহিত করেছিল। এটি কৌশলগত কূটনীতির অংশ। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, যদি চীন ভবিষ্যতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাড়ানোর পরিকল্পনা করে তবে আরও আন্তর্জাতিক স্বচ্ছতার প্রয়োজন হবে। অস্ট্রেলিয়া পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে শুধু কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছিল, কিন্তু বিস্তারিত জানানো হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মতো অস্ট্রেলিয়াও চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে এবং এই অঞ্চলে এমন পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক হ্যান্স ক্রিস্টেনসেন বলেন, সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা পুরো সিস্টেমের কার্যকারিতা যাচাই করে।

সম্প্রতি পিএলএ রকেট ফোর্স ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। ২০২১ সালে পেন্টাগনের তথ্যমতে, চীন প্রায় ১৩৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এগুলোর বেশিরভাগই দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের মরুভূমিতে আঘাত হেনেছে। তবে ১৯৮০ সালের পর থেকে চীন তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলো এমনটি নিয়মিত করে থাকে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র, ওয়ারহেড ও সিলোর পরিমাণ ও মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সম্পূর্ণ পাল্লার পরীক্ষাই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও এর ওয়ারহেডের নির্ভুলতা ও কার্যকারিতা যাচাই করতে পারে। এই ধরনের পরীক্ষা সমুদ্রে পরিচালিত হলে চীনের স্যাটেলাইট ও স্পেস ট্র্যাকিং স্টেশনগুলোর মাধ্যমে মনিটর করা হয়। এর মধ্যে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত দ্বীপ ও নামিবিয়া এবং আর্জেন্টিনার ঘাঁটিও অন্তর্ভুক্ত।

পরীক্ষার কৌশলগত গুরুত্ব

বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, চীনের দুটি উন্নতমানের ‘স্পেস সাপোর্ট’ জাহাজ, ইউয়ান-ওয়াং ৩ এবং ইউয়ান-ওয়াং ৫ পরীক্ষার সময় প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করছিল। জাহাজগুলো ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম ছিল। ইউয়ান-ওয়াং ৩ নাউরুর উত্তর-পশ্চিমে এবং ইউয়ান-ওয়াং ৫ টোকেলাও দ্বীপপুঞ্জের পূর্বে অবস্থান করছিল।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেড সাগরের নির্ধারিত এলাকায় পতিত হয়েছে। তবে কোথায় আঘাত করেছে তা স্পষ্ট করেনি। ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, এটি ফ্রান্সের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকার কাছে পতিত হয়েছে। যা হাইনান থেকে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার দূরে।

লন্ডনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র গবেষক টিমোথি রাইট বলেন, এই পরীক্ষা পিএলএকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা যাচাইয়ের একটি দুর্দান্ত সুযোগ দিয়েছে। চীনের স্যাটেলাইট, গ্রাউন্ড স্টেশন এবং ট্র্যাকিং শিপের নেটওয়ার্ক এখনও বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে এবং এর মহাকাশ ভিত্তিক আইএসআর (ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেইল্যান্স ও রিকনেসান্স) ক্ষমতা কতটা কার্যকর তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে।

পরবর্তী পদক্ষেপ

বিশ্লেষকদের মতে, পিএলও এই পরীক্ষায় পুরনো ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-৩১ ব্যবহার করেছে। হাইনান থেকে উৎক্ষেপণ করা হলেও ক্ষেপণাস্ত্রটি অন্যান্য দেশের আকাশসীমা এড়িয়ে গিয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, হাইনান থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দূরে সিচুয়ান প্রদেশের ইয়িবিনে অবস্থিত একটি রকেট ফোর্স ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।

যদি চীন উত্তর এশিয়া বা আর্কটিকের ওপর দিয়ে উত্তর আটলান্টিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়, তা ভৌগোলিক ও কূটনৈতিকভাবে আরও জটিল হবে। জাপান ও ফিলিপাইন্সকে সম্ভাব্য মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের মধ্যে পতিত হতে পারে বলে অবহিত করা হয়েছিল। তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের কিছু দেশকে চীন কোনও তথ্য দেয়নি। কিরিবাতির প্রেসিডেন্ট পরীক্ষার পর মঙ্গলবার চীনের সমালোচনা করে বলেছেন, তাদেরকে কোনও পূর্ব তথ্য জানানো হয়নি।

সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা বিশ্লেষক জেমস চার বলেন, ঘনঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার ফলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং অন্যদের নজরদারি থেকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা আড়াল করতে চেষ্টা করে বেইজিং এবং এই বিষয়ে দেশটি খুব সতর্ক।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত