বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সোমবার রংপুর শহরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক সংলাপে না ডাকতে ফেসবুকে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম যে ঘোষণা দিয়েছে। তারা রংপুরে আসতে পারবে না। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই রংপুরের পার্টি অফিসে বসে থাকবেন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তি কতটুকু। যদি এই আন্দোলনকে আমরা জনস্রোত করতে না পারি তাহলে জাতীয় পার্টি থেকে নাকে খত দিয়ে চলে যাব।”
এদিকে, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকরা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তারা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার দেওয়া ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় রংপুরে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে নিজ নিজ ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, “জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?”
হাসনাত লেখেন, “স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।”