এখনই বাড়তে শুরু করেছে পবিত্র রমজান মাসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও ভোজ্য তেল, ছোলা, খেজুর ও চিনির দাম এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। এর জন্য আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন। খবরে বলা হচ্ছে, রপ্তানিকারক দেশগুলোতে উৎপাদনের ঘাটতির কারণে বিশ্ববাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে, যেখানে আমদানি করা পণ্য জাহাজে পরিবহনের খরচও বেড়েছে।যার প্রভাব পড়ছে ক্রেতাদের উপর।
বাংলাদেশে রমজান মাসে চাহিদা বেড়ে যায় এমন পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর ২৫-৩০ শতাংশ বাড়তি থাকবে বলে আশঙ্কা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন যে, এরইমধ্যে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যেরই দাম এক মাস আগের তুলনায় বেড়েছে। যদিও রমজান মাস শুরু হতে আরো দেড় মাসের মতো বাকি রয়েছে।
বিভিন্ন মানের ছোলা ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগের তুলনায় ছোলায় কেজিতে ১০-১৫ টাকার মতো বেড়েছে। খেজুরের ক্ষেত্রে মান ভেদে দাম, অনেক ক্ষেত্রে দ্বিগুন হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রকমের ডালের দাম বেড়েছে। অ্যাংকার(এক ধরনের ডাল), খেসারি- এসব ডালের দাম বেড়েছে। মসুরের ডাল কেজি প্রতি ২-৪ টাকা বেড়েছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বেশি থাকার কারণে এবং ছোট ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে না পারায় আমদানি কমে গেছে, যার কারণে বন্দরে এসব পণ্যের সরবরাহ কম।ফলে বাড়ছে দাম।
এই কঠিন সময়ে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সাহায্যের জন্য এখনই সরকারকে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করতে হবে। নজরদারি বাড়িয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা দোকানের সামনে ঝুলিয়ে দিলে ক্রেতাদের থেকে বাড়তি দাম আদায় বন্ধ হতে পারে। অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সময়টায় যেন মজুতদারি করতে না পারে সেটাও সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের পক্ষে এটা করা সম্ভব বলেই আমরা বিশ্বাস করি।