জলিলুর রহমান জনি, সিরাজগঞ্জ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এবং সিরাজগঞ্জ ০৪ (উল্লাপাড়া সলঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এক বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যদি ক্ষমতায় আসে, তবে তারা একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার দুর্গনগর ইউনিয়নের এক নম্বর রোড শ্যামপুর বাজারে অনুষ্ঠিত এক সাধারণ সভায় এই ঘোষণা দেন মাওলানা রফিকুল। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড সভাপতি ওবয়ল্লাহ দবির। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উল্লাপাড়া উপজেলার সেক্রেটারী মোঃ খায়রুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাওঃ আব্দুল বারী, প্রচার মিডিয়া সম্পাদক জনাব আশরাফুল আলম মোত্তালিব এবং দুর্গানগর ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে রয়েছে। আমরা জামায়াতের পক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি যে, ক্ষমতায় এলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আমাদের দল ক্ষমতায় আসলে দেশের সেবা করা এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।’
প্রেক্ষাপট হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশে দুর্নীতি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হিসেবে বিদ্যমান। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কথা বললেও কার্যত তা বাস্তবায়ন অনেকাংশেই অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। জামায়াতের এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কতটুকু হবে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় থাকলেও, এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে শক্তিশালী নীতিমালা এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, দুর্নীতি যদি সত্যিই দূর করা যায়, তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ অনেকাংশে মসৃণ হবে। তবে, এর জন্য দরকার সঠিক নেতৃত্ব এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
অন্যদিকে, অনেকেই মনে করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দুর্নীতি দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাঠামোতে গভীর প্রভাব ফেলে, তাই এটি প্রতিরোধে প্রয়োজন হবে সমন্বিত প্রচেষ্টা।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে, এখন দেখার বিষয় হলো, ভোটাররা কিভাবে এই প্রতিশ্রুতিকে গ্রহণ করে এবং তারা কি পরিমাণে এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চায়। জামায়াতে ইসলামের এই উদ্যোগ কি তাদের নির্বাচনী ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।