মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ৩৭ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে জালান ইপোহ-এর একটি তিন তারকা হোটেলে অভিযান চালানো হয়। অভিযান শুরু হয় রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে, দুই সপ্তাহের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে। পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ও বিশেষ অভিযান বিভাগের কর্মকর্তা ও সদস্যরা অংশ নেন।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমারের ২ জন নারী ও ২ জন পুরুষ, ভারতীয় ১ নারী ও ১ পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার ১৭ নারী ও ১ পুরুষ, থাইল্যান্ডের ৯ নারী, ভিয়েতনামের ৬ নারী এবং লাওসের ১ নারী। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৬১ বছরের মধ্যে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ছয়জন থাই, তিনজন ভিয়েতনামী, দুইজন ইন্দোনেশিয়ান ও একজন লাওটিয়ান নারী পাসের অপব্যবহার করেছেন। একজন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করেছেন। এছাড়া দুইজন মিয়ানমারের পুরুষ, একজন ভারতীয় পুরুষ, ১৫ জন ইন্দোনেশিয়ান নারী, তিনজন ভিয়েতনামী নারী এবং তিনজন থাই নারীর বৈধ ভ্রমণ নথি ছিল না। অভিযান থেকে কাজের চুক্তি ও বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমন ফি বাড়ছে
ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযোগ, আটক ব্যক্তিরা হোটেলটিকে বিদেশি পতিতাবৃত্তি কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল। গ্রাহকরা হোয়াটসঅ্যাপ বা সরাসরি এসে ছবি দেখে নারীদের বেছে নিতে পারতেন। প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ থেকে ৪০০ রিঙ্গিত চার্জ নেওয়া হতো। ধারণা করা হচ্ছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই সিন্ডিকেটটি সক্রিয় ছিল।
আইনি প্রক্রিয়ায় ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের বিভিন্ন ধারায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। সবাইকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাতজন স্থানীয় পুরুষকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য উপস্থিত হওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে একই রাতে নেগেরি সেম্বিলানের নিলাই এলাকায় আরেকটি বিশেষ অভিযানে ২১ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে প্রাইমিস কেয়ারটেকার এবং বাকি ২০ জনকে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করার সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
জেআই/