জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১:৪০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে উপস্থিত হন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
তবে, আগে “আমার দেশ” পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ না হওয়ায় নাহিদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজি মনোয়ার হোসেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন,
> “মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মামলায় হয়তো আমি শেষ সাক্ষী। আমার সাক্ষ্য নেওয়ার পরই রায়ের দিকে যাবে ট্রাইব্যুনাল। এখন পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া সন্তোষজনক এবং দ্রুত রায়ের দিকে এগোবে।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলিতভাবে সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত এবং নির্বাচনের পরও জুলাই গণহত্যার বিচার চলমান রাখার বিষয়টি প্রত্যেক দলের ইশতেহারে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, গত বছরের জুলাই-অগাস্ট আন্দোলনে দেশে হত্যাযজ্ঞের বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
মামলায় শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠা, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণ ৪,০০৫ পৃষ্ঠা, শহীদদের তালিকা ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। প্রসিকিউশনের প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের কাছে ১২ মে ২০২৫ জমা দেওয়া হয়েছে।