২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা- প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা- প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আগামী বছর তিন কারণে সংকট দেখা দিতে পারে বলে ২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ

এ জন্য ২০২৩ সালকে সম্ভাব্য ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ (সংকটের বছর) ধরে নিয়ে ছয় নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা সংকটগুলো হলো- ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং চীনের পণ্য আসা কমে যাওয়া। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব জানান, সংকট কাটাতে ছয় পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো– খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির উদোগ নিতে হবে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, খাদ্য মজুত ঠিক রাখতে হবে এবং খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারককে সস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিসেন্টলি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণগুলো বলছে তিনটি কারণে ২০২৩ সাল খুব একটা ক্রাইসিস বছর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করেছে; করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক অবস্থা রিকভারি হওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে; চীন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এই তিনটি বিষয় বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করছে। এ তিনটিকে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক যে পর্যবেক্ষণ আসছে তাতে বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল একটা ক্রাইসিস ইয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সবাইকে সে অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি আরও জানান, সংকট মোকাবিলায় সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের নির্দেশ দেন। সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে বিদেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, যাতে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।

প্রধানমন্ত্রী থার্ড পার্টির কাছে না গিয়ে সরাসরি বিদেশ থেকে খাদ্যপণ্য কেনার নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আমরা যদি বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ জনবল পাঠাই তাহলে তাদের জন্য উচ্চ বেতনে কাজ করার সুযোগ থাকবে। যেসব দেশে শ্রমিক পাঠানো হবে সেসব দেশে চাহিদা অনুযায়ী যেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা হয়। তাদের সনদগুলো যেন সঠিক প্রতিষ্ঠান থেকে পায়।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা- প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা- প্রধানমন্ত্রীর ৬ নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আগামী বছর তিন কারণে সংকট দেখা দিতে পারে বলে ২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ

এ জন্য ২০২৩ সালকে সম্ভাব্য ‘ক্রাইসিস ইয়ার’ (সংকটের বছর) ধরে নিয়ে ছয় নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

২০২৩ সাল নিয়ে শঙ্কা সংকটগুলো হলো- ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং চীনের পণ্য আসা কমে যাওয়া। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সচিব জানান, সংকট কাটাতে ছয় পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো– খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধির উদোগ নিতে হবে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, খাদ্য মজুত ঠিক রাখতে হবে এবং খাদ্য আমদানিতে উৎসে কর বাদ দিয়ে আমদানিকারককে সস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রিসেন্টলি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণগুলো বলছে তিনটি কারণে ২০২৩ সাল খুব একটা ক্রাইসিস বছর হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি করেছে; করোনা মহামারির পর অর্থনৈতিক অবস্থা রিকভারি হওয়ার আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে; চীন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। এই তিনটি বিষয় বিশ্ব বাজারকে প্রভাবিত করছে। এ তিনটিকে বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক যে পর্যবেক্ষণ আসছে তাতে বলা হচ্ছে ২০২৩ সাল একটা ক্রাইসিস ইয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। সবাইকে সে অনুযায়ী প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি আরও জানান, সংকট মোকাবিলায় সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন শস্যের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের নির্দেশ দেন। সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে বিদেশে। রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়টি আরও সহজ করতে হবে। নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে পাঠাতে হবে। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, যাতে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।

প্রধানমন্ত্রী থার্ড পার্টির কাছে না গিয়ে সরাসরি বিদেশ থেকে খাদ্যপণ্য কেনার নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আমরা যদি বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ জনবল পাঠাই তাহলে তাদের জন্য উচ্চ বেতনে কাজ করার সুযোগ থাকবে। যেসব দেশে শ্রমিক পাঠানো হবে সেসব দেশে চাহিদা অনুযায়ী যেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করা হয়। তাদের সনদগুলো যেন সঠিক প্রতিষ্ঠান থেকে পায়।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত