দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ অক্টোবর

,
দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ অক্টোবর

ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ আদেশ দেন। এ দিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়ার মেট্রিক পরীক্ষার নম্বরপত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল উল্লেখ করা হয়।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ঐদিন জন্মদিন উদযাপন করছেন বলে মামলায় বলা হয়।

অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করা এবং নির্বাচিত হয়ে তাদের মন্ত্রীসহ নানা দায়িত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

পরে তদন্ত কর্মকর্তা এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে জিয়াউর রহমানকে মৃত বলে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়ে ও তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকার অসম্মান করেছেন খালেদা জিয়া।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ অক্টোবর

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১৭ অক্টোবর

ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ আদেশ দেন। এ দিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়ার মেট্রিক পরীক্ষার নম্বরপত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল উল্লেখ করা হয়।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ঐদিন জন্মদিন উদযাপন করছেন বলে মামলায় বলা হয়।

অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করা এবং নির্বাচিত হয়ে তাদের মন্ত্রীসহ নানা দায়িত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

পরে তদন্ত কর্মকর্তা এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে জিয়াউর রহমানকে মৃত বলে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়ে ও তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে জাতীয় পতাকার অসম্মান করেছেন খালেদা জিয়া।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত