রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আওয়ামীলীগ সরকারের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের আওতায় আরও ১৪ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হলো।
বুধবার(২২ই মার্চ) সকালে এ উপলক্ষে রাজস্থলী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাজস্থলী উপজেলা গণমিলনায়তনে এক ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।
সারা দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে উপকারভোগীদের কাছে জমির দলিলসহ এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উচসিন মারমা, ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হেলাল, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আবদুস সাত্তারসহ সরকারি বেসরকারি দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী শিক্ষক ও উপকার ভোগীগন। প্রধান অতিথি উবাচ মারমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছিল কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। এরই ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন।
এসময় গাইন্দ্যা ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের উপকারভোগী উখ্যানু মারমা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি ঘর উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা ও ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ স্যারের মাধ্যমে পেয়ে আমি মহা খুশি। আমার কোন ঘর ছিল না রাস্তার ধারে পলিথিন দিয়ে একটি ছোট খুঁড়িঘরে বসবাস করছিলাম। সেখান থেকে চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমার সুপারিশে আজ একটি ঘর পেয়েছি। মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে ভগবানের কাছে প্রধানমন্ত্রী, ইউএনও, চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করছি। কখনো স্বপ্নে দেখিনি পাকা ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তনু কুমার দাশ বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক রাজস্থলীতে ১৫ টি ঘরের মধ্যে ১৪ গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি ও জমির কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে ৫টি, গাইন্দ্যা ইউনিয়নে ৬টি ও বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৫টি গৃহহীন পরিবার চতুর্থ পর্যায়ে ঘর পেয়েছেন।