রমজানে ভ্রমণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

,
রমজানে ভ্রমণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজানে সবারই নিজ নিজ পরিবার-স্বজনদের কাছাকাছি থাকতে চায়। তাদের নিয়ে রজমান পালন করাতেই যেনো মানসিন ও আত্মার শান্তি। তবে কর্মজীবনের চাপে কিংবা স্বভাবগত কারণে অনেক মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় ভ্রমণ করতে হয়। রমজানে ভ্রমণের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই অন্য সময় থেকে আলাদা হয়ে যায়। সারাদিনের রোজা, নামাজ, ইবাদাত শেষে সময় যেনো একটু দ্রুতই পাড় হয়ে যায়। তাই এই বিশেষ মাসে ভ্রমণের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভ্রমণের সময়সূচি সম্পর্কে সচেতনতা: রমজানে ভ্রমণের সময় বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে ইফতারি ও সেহরির সময় মাথায় রেখেই ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করতে হবে। বাস বা বিমান যেটাতেই ভ্রমণ করেন না কেন, এমন সময় বেছে নেয়ার চেষ্টা করুন যেন ইফতারির আগে বা সেহরির আগে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। তাহলে অন্তত একটি অংশ আরামের সঙ্গে কাটাতে পারবেন। দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণে হয়তো এমন সমস্যা হবে। কিন্তু স্বল্প সময়ের ভ্রমণে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

নামাজের সময়: মাথায় রাখতে হবে নামাজের সময়সূচি। যদি এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণে যান, তাহলে সেই দেশের সময়ের হিসাব রাখবেন। ভ্রমণের মাঝেও নামাজের ওয়াক্ত পড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সুযোগ করে নামাজ পড়ে নিন। রজমান উপলক্ষে সাধারণ ভ্রমণের বিভিন্ন মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য নামাজ ও অন্যান্য ব্যবস্থা রাখা হয়।

জরুরী পরিস্থিতির জন্য তৈরী থাকাঃ যখন ভ্রমণে রয়েছেন তখন যেকোনো কিছুই ঘটে যেতে পারে। মারাত্মক যানজটে আটকে যেতে পারেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণেও ইফতারি বা সেহরির সময় দেরি হয়ে যেতে পারে। ভিন্ন দেশে ভ্রমণের কারণে হয়তো হালাল খাবারের সংকটে পড়ে গেলেন। ইফতারি বা সেহরির সময় হয়তো এমন কোনো স্থানে আটকে গেলেন যে কিছুই মিলছে না। এমন নানা ধরনের সমস্যা হতেই পারে। এই জরুরি পরিস্থিতিগুলো মাথায় রেখেই ব্যাগে কিছু খাবার নিয়ে নিন। স্বাস্থ্যসম্মত স্ন্যাকস এবং পানি রাখতে পারেন।

নিজের সাথে বাড়তি খাবারের স্টক রাখুনঃ ভ্রমণে হয়তো এমন হোটেলে উঠবেন যেখানে ইফতার ও সেহরির সুবিধা মিলবে না। আশপাশেও হয়তো এমন হোটেলের সন্ধান পাবেন না। এই ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বাড়তি খাবারের কিছু স্টক সঙ্গেই রাখুন।সাথে পানি রাখুন। যেকোনো সময় শরীর খারাপ লাগলে অথবা ইফতারে যাতে খেতে পারেন।

কী খাচ্ছেন আগে থেকেই জেনে নিনঃ মুসলমানদের হালাল খাবারের বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনার খাবারের প্লেটে কী কী খাবার রয়েছে তা জেনে নিন। রেস্টরেন্টে বসলে ওয়েটারের কাছে জেনে নিন খাবার সম্পর্কে। বিমানে থাকলে অবশ্যই বিমানবালাদের কাছে জানান যে আপনি ইফতারি বা সেহরি খাবেন। অপরিচিত খাবার দেখলে ওটা কী তা জেনে নিন।

একই ধর্মের ভাই-বোনদের খোঁজ রাখুনঃ যেখানেই যান আশপাশে একটু নজর রাখুন। কোনো মুসলমানকে দেখলে তার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনে নিতে পারেন। কোথায় নামাজ পড়বেন, কোথায় ইফতারি বা সেহরি সারতে পারবেন ইত্যাদি জেনে নিন।

অন্যান্য সময়ের চেয়ে রোজা রেখে ভ্রমণ আসলেই ব্যতিক্রম ও কষ্টের। অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়।আশা করি উপরের লিস্ট আপানাদের এসব বিষয়াদি মনে রাখতে সাহায্য করবে। সুন্দর ও নেয়ামতপূর্ণ হউক সকল রোজাদার ব্যক্তির যাত্রা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রমজানে ভ্রমণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রমজানে ভ্রমণের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজানে সবারই নিজ নিজ পরিবার-স্বজনদের কাছাকাছি থাকতে চায়। তাদের নিয়ে রজমান পালন করাতেই যেনো মানসিন ও আত্মার শান্তি। তবে কর্মজীবনের চাপে কিংবা স্বভাবগত কারণে অনেক মানুষকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় ভ্রমণ করতে হয়। রমজানে ভ্রমণের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই অন্য সময় থেকে আলাদা হয়ে যায়। সারাদিনের রোজা, নামাজ, ইবাদাত শেষে সময় যেনো একটু দ্রুতই পাড় হয়ে যায়। তাই এই বিশেষ মাসে ভ্রমণের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভ্রমণের সময়সূচি সম্পর্কে সচেতনতা: রমজানে ভ্রমণের সময় বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে ইফতারি ও সেহরির সময় মাথায় রেখেই ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করতে হবে। বাস বা বিমান যেটাতেই ভ্রমণ করেন না কেন, এমন সময় বেছে নেয়ার চেষ্টা করুন যেন ইফতারির আগে বা সেহরির আগে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। তাহলে অন্তত একটি অংশ আরামের সঙ্গে কাটাতে পারবেন। দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণে হয়তো এমন সমস্যা হবে। কিন্তু স্বল্প সময়ের ভ্রমণে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

নামাজের সময়: মাথায় রাখতে হবে নামাজের সময়সূচি। যদি এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণে যান, তাহলে সেই দেশের সময়ের হিসাব রাখবেন। ভ্রমণের মাঝেও নামাজের ওয়াক্ত পড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সুযোগ করে নামাজ পড়ে নিন। রজমান উপলক্ষে সাধারণ ভ্রমণের বিভিন্ন মাধ্যমে মুসলমানদের জন্য নামাজ ও অন্যান্য ব্যবস্থা রাখা হয়।

জরুরী পরিস্থিতির জন্য তৈরী থাকাঃ যখন ভ্রমণে রয়েছেন তখন যেকোনো কিছুই ঘটে যেতে পারে। মারাত্মক যানজটে আটকে যেতে পারেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণেও ইফতারি বা সেহরির সময় দেরি হয়ে যেতে পারে। ভিন্ন দেশে ভ্রমণের কারণে হয়তো হালাল খাবারের সংকটে পড়ে গেলেন। ইফতারি বা সেহরির সময় হয়তো এমন কোনো স্থানে আটকে গেলেন যে কিছুই মিলছে না। এমন নানা ধরনের সমস্যা হতেই পারে। এই জরুরি পরিস্থিতিগুলো মাথায় রেখেই ব্যাগে কিছু খাবার নিয়ে নিন। স্বাস্থ্যসম্মত স্ন্যাকস এবং পানি রাখতে পারেন।

নিজের সাথে বাড়তি খাবারের স্টক রাখুনঃ ভ্রমণে হয়তো এমন হোটেলে উঠবেন যেখানে ইফতার ও সেহরির সুবিধা মিলবে না। আশপাশেও হয়তো এমন হোটেলের সন্ধান পাবেন না। এই ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বাড়তি খাবারের কিছু স্টক সঙ্গেই রাখুন।সাথে পানি রাখুন। যেকোনো সময় শরীর খারাপ লাগলে অথবা ইফতারে যাতে খেতে পারেন।

কী খাচ্ছেন আগে থেকেই জেনে নিনঃ মুসলমানদের হালাল খাবারের বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনার খাবারের প্লেটে কী কী খাবার রয়েছে তা জেনে নিন। রেস্টরেন্টে বসলে ওয়েটারের কাছে জেনে নিন খাবার সম্পর্কে। বিমানে থাকলে অবশ্যই বিমানবালাদের কাছে জানান যে আপনি ইফতারি বা সেহরি খাবেন। অপরিচিত খাবার দেখলে ওটা কী তা জেনে নিন।

একই ধর্মের ভাই-বোনদের খোঁজ রাখুনঃ যেখানেই যান আশপাশে একটু নজর রাখুন। কোনো মুসলমানকে দেখলে তার কাছ থেকে অনেক কিছু জেনে নিতে পারেন। কোথায় নামাজ পড়বেন, কোথায় ইফতারি বা সেহরি সারতে পারবেন ইত্যাদি জেনে নিন।

অন্যান্য সময়ের চেয়ে রোজা রেখে ভ্রমণ আসলেই ব্যতিক্রম ও কষ্টের। অনেক কিছু খেয়াল রাখতে হয়।আশা করি উপরের লিস্ট আপানাদের এসব বিষয়াদি মনে রাখতে সাহায্য করবে। সুন্দর ও নেয়ামতপূর্ণ হউক সকল রোজাদার ব্যক্তির যাত্রা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত