রমজানে প্রতিবেশির প্রতি দায়িত্ব

,
রমজানে প্রতিবেশির প্রতি দায়িত্ব
ছবি: সংগৃহীত

চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাস হচ্ছে সংযমের মাস। ধনী তথা সামর্থ্যবানদেরকে গরীবের কষ্ট, ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও অভাব বোঝানোর মাস। আমার প্রতিবেশী কি ইফতারে তৃপ্ত হচ্ছে। প্রতিবেশীর হক কতটুকু আদায় করতে পারছি। মাগফেরাতের দশকে আমরা আল্লাহ এবং মানুষের মাঝে সর্বাগ্রে প্রতিবেশীর কাছে কতটুকু দাবীমুক্ত।

হাদিসের বর্ণনা মতে, হক বা অধিকারের আলোকে প্রতিবেশী তিন শ্রেণির হয়ে থাকে। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো কোনো প্রতিবেশী রয়েছে, যাদের হক মাত্র একটি। এমন কোনো কোনো প্রতিবেশী রয়েছে যাদের হক দুটি এবং এমন কতক প্রতিবেশী রয়েছে যাদের হক তিনটি। নিচে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলো-

১. এক হকবিশিষ্ট প্রতিবেশী তারা, যারা প্রতিবেশী কিন্তু আত্মীয় নয় এবং অমুসলিম। ২. দুই হকবিশিষ্ট প্রতিবেশী তারা, যারা প্রতিবেশী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান কিন্তু আত্মীয় নয়। ৩. তিন হকবিশিষ্ট প্রতিবেশী তারা, যারা প্রতিবেশী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান ও আত্মীয়ও বটে।

প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন এবং পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। চাই সে মুসলিম বা অন্য যেকোনো সম্প্রদায়ের হোক না কেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে হবে, হাসিমুখে কথা বলতে হবে। তাদের কোনো প্রকার কষ্ট না দেওয়া, তাদের উপকার করা, দান করা এবং যথাসম্ভব গরিব প্রতিবেশীর দুঃখণ্ডকষ্টে অংশীদার হওয়া ঈমানি দায়িত্ব। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, সে ব্যক্তি প্রকৃত ঈমানদার নয়, যে নিজে তৃপ্তিসহকারে খায় অথচ তার পাশের প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (বায়হাকি ও মিশকাত)

আসুন জেনে নিই প্রতিবেশীর ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বর্ণোজ্জল চিন্তা ভাবনা কী-

রমজানের প্রতিবেশী-

সমাজের ছোট-বড়, ধনী-গরিব মিলেই আমাদের সমাজ। আমরা যারা গ্রাম-গঞ্জে বসবাস করি তাদের অধিকাংশই গ্রামীণ জনপদে বসবাস করি। সেই জনপদে কারো কারো রমজান কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। সমাজের বিত্তবানদের উচিত এই গরীব প্রতিবেশীর খোঁজ খবর নেয়া।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সঙ্গীদের মধ্যে উত্তম সঙ্গী হলো সেই ব্যক্তি যে তার নিজের সঙ্গীর কাছে উত্তম। আল্লাহর দৃষ্টিতে প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তম প্রতিবেশী হলো সেই প্রতিবেশী যে তার নিজের প্রতিবেশীর কাছে উত্তম। (তিরমিজি, মুস্তাদরেকে হাকেম) । এ হাদিসের আলোকে বোঝা গেল, আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিবেশী সেই ব্যক্তি যে তার নিজের প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।
আমাদের রোজা পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- রহমত, বরকত, মাগফেরাত, জান্নাত লাভ, জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত এবং আখিরাতে আল্লাহর সাথে দিদারের মতো নিয়ামত লাভের আশায়। রোজা পালনে প্রতিবেশীর প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন; গরীব প্রতিবেশীর ইফতার ও সাহরিতে সহযোগীতা করা আমাদের শুধু নৈতিক দায়িত্বই নয়; বরং রাসুলের অনেক উচ্চ স্থানের সুন্নতও বটে। আমরা খোঁজ নিলে দেখতে পাবো যে, অনেক প্রতিবেশী রোজাদার ছোলা, পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ইত্যাদি তো থাক দূরের কথা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত খেজুর দিয়ে ইফতার করা, তাই পাচ্ছে না। আমরা কি একবারও ভাবছি আমাদের গরিব প্রতিবেশীর কথা। ভাবছি ঈদে বাড়ি গেলে গরিব প্রতিবেশীকে ফিতরা আদায় করবো। জাকাত দেবো। কিন্তু আমরা যদি এই রমজানে তাকে দান করি, সাদকা দিই, তাহলে এর ছাওয়াব বা প্রতিদান পাওয়া যাবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে দশগুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বেশি। প্রতিবেশির নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে, তাদের দৈনন্দিন জীবন কেমন যাচ্ছে বুঝার চেষ্টা করতে হবে, কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা চলছে নাকি ,সেখানে সাহায্য করা যায় নাকি খেয়াল করতে হবে। রমজানের উদ্দেশ্যই হলো অনাহার,গরিবের না খেয়ে থাকার কষ্ট যাতে আমরা অনুভব করতে পারি তার জন্য। যখন তা অনুধাবন করতে পারছি তখন এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট হতে হবে। যদি আমরা বুঝতে পারি, আমার পাশের বাড়ির, পাশের মহল্লার পরিবারটি ঠিক মতো ইফতার করতে পারছে না আমরা ইফতার শেয়ার করবো, খোঁজ খবর রাখবো। শুধু নিজের রুচিকর ইফতার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে না। কিয়ামতের কঠিন দিনে আমাদেরকে এই গরিব প্রতিবেশীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রতিবেশীর অধিকার আদায়ে যত্নশীল হওয়ার তাগিদ দিয়ে রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, যখন তুমি তরকারি পাকাবে, তখন তাতে কিছু অতিরিক্ত পানি দেবে (ঝোল বাড়িয়ে দেবে), যাতে করে তুমি প্রতিবেশীকে কিছু হাদিয়া দিতে পার। (মুসলিম)।

এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলিম নারীদের উদ্বুদ্ধ করে আরও বলেন, হে মুসলিম রমণীরা! তোমরা প্রতিবেশীর বাড়িতে সামান্য বস্তু পাঠানোকে তুচ্ছ মনে করবে না। এমনকি তা যদি বকরির পায়ের সামান্য অংশও হয়। (বোখারি)। এই হাদিস দুটি প্রতিবেশীর গুরুত্ব অধিকই প্রমাণ করে। সুতরাং এই রমজানে আমরা প্রতিবেশীর প্রতি সুদৃষ্টি দেবো। তারা ঠিক মতো ইফতার করতে পারছে কি না। সেহরি খেতে পারছে কি না। ইফতার ও খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগীতা করার জন্য এগিয়ে আসবো। প্রতিবেশীর এই অধিকার ও সেবাকে আল্লাহ আমাদের এই রমজানের রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত লাভের মাধ্যম করুন। আমীন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রমজানে প্রতিবেশির প্রতি দায়িত্ব

রমজানে প্রতিবেশির প্রতি দায়িত্ব
ছবি: সংগৃহীত

চলছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাস হচ্ছে সংযমের মাস। ধনী তথা সামর্থ্যবানদেরকে গরীবের কষ্ট, ক্ষুধা, তৃষ্ণা ও অভাব বোঝানোর মাস। আমার প্রতিবেশী কি ইফতারে তৃপ্ত হচ্ছে। প্রতিবেশীর হক কতটুকু আদায় করতে পারছি। মাগফেরাতের দশকে আমরা আল্লাহ এবং মানুষের মাঝে সর্বাগ্রে প্রতিবেশীর কাছে কতটুকু দাবীমুক্ত।

হাদিসের বর্ণনা মতে, হক বা অধিকারের আলোকে প্রতিবেশী তিন শ্রেণির হয়ে থাকে। যেমন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো কোনো প্রতিবেশী রয়েছে, যাদের হক মাত্র একটি। এমন কোনো কোনো প্রতিবেশী রয়েছে যাদের হক দুটি এবং এমন কতক প্রতিবেশী রয়েছে যাদের হক তিনটি। নিচে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলো-

১. এক হকবিশিষ্ট প্রতিবেশী তারা, যারা প্রতিবেশী কিন্তু আত্মীয় নয় এবং অমুসলিম। ২. দুই হকবিশিষ্ট প্রতিবেশী তারা, যারা প্রতিবেশী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান কিন্তু আত্মীয় নয়। ৩. তিন হকবিশিষ্ট প্রতিবেশী তারা, যারা প্রতিবেশী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান ও আত্মীয়ও বটে।

প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, তাদের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন এবং পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। চাই সে মুসলিম বা অন্য যেকোনো সম্প্রদায়ের হোক না কেন। প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে হবে, হাসিমুখে কথা বলতে হবে। তাদের কোনো প্রকার কষ্ট না দেওয়া, তাদের উপকার করা, দান করা এবং যথাসম্ভব গরিব প্রতিবেশীর দুঃখণ্ডকষ্টে অংশীদার হওয়া ঈমানি দায়িত্ব। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, সে ব্যক্তি প্রকৃত ঈমানদার নয়, যে নিজে তৃপ্তিসহকারে খায় অথচ তার পাশের প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (বায়হাকি ও মিশকাত)

আসুন জেনে নিই প্রতিবেশীর ব্যাপারে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বর্ণোজ্জল চিন্তা ভাবনা কী-

রমজানের প্রতিবেশী-

সমাজের ছোট-বড়, ধনী-গরিব মিলেই আমাদের সমাজ। আমরা যারা গ্রাম-গঞ্জে বসবাস করি তাদের অধিকাংশই গ্রামীণ জনপদে বসবাস করি। সেই জনপদে কারো কারো রমজান কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। সমাজের বিত্তবানদের উচিত এই গরীব প্রতিবেশীর খোঁজ খবর নেয়া।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সঙ্গীদের মধ্যে উত্তম সঙ্গী হলো সেই ব্যক্তি যে তার নিজের সঙ্গীর কাছে উত্তম। আল্লাহর দৃষ্টিতে প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তম প্রতিবেশী হলো সেই প্রতিবেশী যে তার নিজের প্রতিবেশীর কাছে উত্তম। (তিরমিজি, মুস্তাদরেকে হাকেম) । এ হাদিসের আলোকে বোঝা গেল, আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিবেশী সেই ব্যক্তি যে তার নিজের প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।
আমাদের রোজা পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে- রহমত, বরকত, মাগফেরাত, জান্নাত লাভ, জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত এবং আখিরাতে আল্লাহর সাথে দিদারের মতো নিয়ামত লাভের আশায়। রোজা পালনে প্রতিবেশীর প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন; গরীব প্রতিবেশীর ইফতার ও সাহরিতে সহযোগীতা করা আমাদের শুধু নৈতিক দায়িত্বই নয়; বরং রাসুলের অনেক উচ্চ স্থানের সুন্নতও বটে। আমরা খোঁজ নিলে দেখতে পাবো যে, অনেক প্রতিবেশী রোজাদার ছোলা, পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ ইত্যাদি তো থাক দূরের কথা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত খেজুর দিয়ে ইফতার করা, তাই পাচ্ছে না। আমরা কি একবারও ভাবছি আমাদের গরিব প্রতিবেশীর কথা। ভাবছি ঈদে বাড়ি গেলে গরিব প্রতিবেশীকে ফিতরা আদায় করবো। জাকাত দেবো। কিন্তু আমরা যদি এই রমজানে তাকে দান করি, সাদকা দিই, তাহলে এর ছাওয়াব বা প্রতিদান পাওয়া যাবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে দশগুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত বেশি। প্রতিবেশির নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে, তাদের দৈনন্দিন জীবন কেমন যাচ্ছে বুঝার চেষ্টা করতে হবে, কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা চলছে নাকি ,সেখানে সাহায্য করা যায় নাকি খেয়াল করতে হবে। রমজানের উদ্দেশ্যই হলো অনাহার,গরিবের না খেয়ে থাকার কষ্ট যাতে আমরা অনুভব করতে পারি তার জন্য। যখন তা অনুধাবন করতে পারছি তখন এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট হতে হবে। যদি আমরা বুঝতে পারি, আমার পাশের বাড়ির, পাশের মহল্লার পরিবারটি ঠিক মতো ইফতার করতে পারছে না আমরা ইফতার শেয়ার করবো, খোঁজ খবর রাখবো। শুধু নিজের রুচিকর ইফতার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে না। কিয়ামতের কঠিন দিনে আমাদেরকে এই গরিব প্রতিবেশীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

প্রতিবেশীর অধিকার আদায়ে যত্নশীল হওয়ার তাগিদ দিয়ে রাসুল (সা.) আরও বলেছেন, যখন তুমি তরকারি পাকাবে, তখন তাতে কিছু অতিরিক্ত পানি দেবে (ঝোল বাড়িয়ে দেবে), যাতে করে তুমি প্রতিবেশীকে কিছু হাদিয়া দিতে পার। (মুসলিম)।

এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলিম নারীদের উদ্বুদ্ধ করে আরও বলেন, হে মুসলিম রমণীরা! তোমরা প্রতিবেশীর বাড়িতে সামান্য বস্তু পাঠানোকে তুচ্ছ মনে করবে না। এমনকি তা যদি বকরির পায়ের সামান্য অংশও হয়। (বোখারি)। এই হাদিস দুটি প্রতিবেশীর গুরুত্ব অধিকই প্রমাণ করে। সুতরাং এই রমজানে আমরা প্রতিবেশীর প্রতি সুদৃষ্টি দেবো। তারা ঠিক মতো ইফতার করতে পারছে কি না। সেহরি খেতে পারছে কি না। ইফতার ও খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগীতা করার জন্য এগিয়ে আসবো। প্রতিবেশীর এই অধিকার ও সেবাকে আল্লাহ আমাদের এই রমজানের রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত লাভের মাধ্যম করুন। আমীন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত