বরিশালের মুলাদীর হাসান সরদার একটু ভিন্ন কায়দাই করেছিলেন। নিজে না গিয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বন্ধুকে পাঠিয়েছিলন প্রেমিকাকে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু বন্ধু তাকে নিয়ে লাপাত্তা। আর প্রেমিকার মায়ের মামলায় প্রেমিক হাসানের ঠিকানা এখন জেল হাজতে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুলাদী পৌরসভার চরডিক্রী গ্রামের হাসান সরদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশ্ববর্তী তেরচর গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর।। বিষয়টি জানতে পের ওই ছাত্রীর অভিভাবক দ্রুত অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করে। এই অবস্থায় প্রেমিক জুটি পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরিকল্পনামাফিক গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য হাসান তার ঘনষ্ঠি বন্ধু তরেচর গ্রামরে শওকত হোসনেকে পাঠায়। কিন্তু শওকত হোসনে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।
বুধবার রাতে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মুলাদী থানায় মামলা করনে। মামলার পর পুলশি হাসানকে গ্রপ্তোর করে। জিজ্ঞাসাবাদে হাসান পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে পরিকল্পনামাফিক তারা ওই ছাত্রীকে নিয়ে গিয়েছে। তবে এর পর শওকতের মোবাইল ফোন বন্ধ বপাওয়া গেছে।
ওই ছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। হাসান কৌশলে তার বন্ধুকে দিয়ে মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানেত পের তিনি মামলা করেন। তিনি তার মেয়েক ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা তুষার কুমার মণ্ডল জানান, স্কুলছাত্রীকে অপহরণরে অভিযোগ এনে তার মা দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত হাসান সরদারকে বৃহস্পতবিার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মুলাদী সার্কেল এএসপি মতিউর রহমান জানান, অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার এবং শওকতকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।