মেহেরপুরে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

,
মেহেরপুরে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
ছবি: প্রতিনিধি

মেহেরপুরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝরে যাচ্ছে লিচুর গুটি। সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন কাজ হচ্ছে না। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে কৃষি অফিস বলছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে লিচু ঝরে গেলেও বাম্পার ফলন হবে।

মেহেরপুরের মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের উপযোগি হওয়ায় অনেকেই লিচুর বাগান করে থাকেন। জেলায় এবার ৬শ ৯০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেকেরই বাড়ির আঙ্গিনায়ও রয়েছে লিচু গাছ। জেলায় মোজাফ্ফর, চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচুর চাষ বেশি।

ভৌগলিক কারনে আন্য জেলার আগেই এখানকার লিচু বাজারজাত করা যায়। দাম ভালো পাবার কারণে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে লিচু চাষ। উদ্যান উন্নয়ন বিভাগ থেকে টিএস-৪ ও চায়না ১৪ প্রজাতির লিচুর বাগান তৈরি হয়েছে ব্যাপকভাবে। আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে উঠবে মোজাফ্ফর জাতের লিচু। তার দিন পনের পরেই বোম্বাই লিচু পাকা ধরবে ও বাজারে পাওয়া যাবে। কৃষি অফিস জেলায় ৩০০ টন লিচু উৎপাদনের আশা করলেও তাতে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে বৈরী আবহাওয়া। প্রচন্ড গরম ও তাপদাহের কারণে লিচুর গুটি শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে।

সদর উপজেলার কোলা গ্রামের লিচু চাষি শামিমুল ইসলাম বাবু জানান, এবারও মোটা টাকায় বাগান কেনা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে অনেক টাকা মুনাফা হবে।

মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের লিচু ব্যবসাহি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি ১০ লাখ টাকায় ১০টি লিচু বাগান কিনেছি। পরিচর্যা বাবদ পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হবে। বৈরী আবহাওয়া ও প্রচন্ড তাপদাহে লিচুর গুটি পড়ে যাচ্ছে। সার, সেচ ও কীটনাশক দিয়েও গুটিপড়া রোধ করতে পারছি না। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে আমি ১৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকার লিচু বিক্রয় করতে পারবো।

মেহেরপুর শহরের আড়ত ব্যবসায়ি খয়ের আলী বলেন, যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে এবার লিচুর লিচু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না থাকার সম্ভবনা বেশী।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, মেহেরপুরে ৬৯০ হেক্টর জমিতে ৩০০ টন লিচু উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। তবে আবহাওয়া একটু খারাপের কারণে গুটি ঝরে যাচ্ছে। চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ফলন বিপর্যয় হবার সম্ভবনা নেই বলে দাবী করেছেন এই কর্মকর্তা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মেহেরপুরে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

মেহেরপুরে লিচুর ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
ছবি: প্রতিনিধি

মেহেরপুরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝরে যাচ্ছে লিচুর গুটি। সার, সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন কাজ হচ্ছে না। এতে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে কৃষি অফিস বলছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে লিচু ঝরে গেলেও বাম্পার ফলন হবে।

মেহেরপুরের মাটি ও আবহাওয়া লিচু চাষের উপযোগি হওয়ায় অনেকেই লিচুর বাগান করে থাকেন। জেলায় এবার ৬শ ৯০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেকেরই বাড়ির আঙ্গিনায়ও রয়েছে লিচু গাছ। জেলায় মোজাফ্ফর, চায়না-৩ ও বোম্বাই জাতের লিচুর চাষ বেশি।

ভৌগলিক কারনে আন্য জেলার আগেই এখানকার লিচু বাজারজাত করা যায়। দাম ভালো পাবার কারণে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে লিচু চাষ। উদ্যান উন্নয়ন বিভাগ থেকে টিএস-৪ ও চায়না ১৪ প্রজাতির লিচুর বাগান তৈরি হয়েছে ব্যাপকভাবে। আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে উঠবে মোজাফ্ফর জাতের লিচু। তার দিন পনের পরেই বোম্বাই লিচু পাকা ধরবে ও বাজারে পাওয়া যাবে। কৃষি অফিস জেলায় ৩০০ টন লিচু উৎপাদনের আশা করলেও তাতে বাঁধা হয়ে দাড়াচ্ছে বৈরী আবহাওয়া। প্রচন্ড গরম ও তাপদাহের কারণে লিচুর গুটি শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে।

সদর উপজেলার কোলা গ্রামের লিচু চাষি শামিমুল ইসলাম বাবু জানান, এবারও মোটা টাকায় বাগান কেনা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে অনেক টাকা মুনাফা হবে।

মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের লিচু ব্যবসাহি জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি ১০ লাখ টাকায় ১০টি লিচু বাগান কিনেছি। পরিচর্যা বাবদ পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হবে। বৈরী আবহাওয়া ও প্রচন্ড তাপদাহে লিচুর গুটি পড়ে যাচ্ছে। সার, সেচ ও কীটনাশক দিয়েও গুটিপড়া রোধ করতে পারছি না। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেওয়া হয়নি। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে আমি ১৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকার লিচু বিক্রয় করতে পারবো।

মেহেরপুর শহরের আড়ত ব্যবসায়ি খয়ের আলী বলেন, যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে এবার লিচুর লিচু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না থাকার সম্ভবনা বেশী।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানান, মেহেরপুরে ৬৯০ হেক্টর জমিতে ৩০০ টন লিচু উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। তবে আবহাওয়া একটু খারাপের কারণে গুটি ঝরে যাচ্ছে। চাষিদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ফলন বিপর্যয় হবার সম্ভবনা নেই বলে দাবী করেছেন এই কর্মকর্তা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত