প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনা

ভারতের ওড়িশায় যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ জন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন কীভাবে ঘটলো ভয়বহ এ দুর্ঘটনা।

তারা জানান, নির্ধারিত সময়েই হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ থেকে থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার জনপ্রিয় ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বহু মানুষ প্রতিদিন ওই ট্রেনে করে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যান চিকিৎসা করাতে।

ঘড়ির কাঁটা তখন ৭টা পেরিয়েছে। ওড়িশার বালেশ্বর স্টেশন পেরনোর পর আচমকাই বিকট শব্দ। ক্রমশ গতি কমতে থাকে করমণ্ডলের। একাধিক কামরা ডান দিকে হেলে পড়তে থাকে বিপজ্জনক ভাবে।

ট্রেনে উপস্থিত যাত্রীদের কয়েক জনের বক্তব্য, গতি কমার সঙ্গে সঙ্গেই কামরা হেলে যাওয়া টের পেতেই হুড়োহুড়ি শুরু কামরার মধ্যে। ততক্ষণে আরও খানিকটা হেলে গিয়েছে কামরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রায় এক কিলোমিটার পথ এ ভাবেই আস্তে আস্তে এগোতে থাকে ট্রেনটি।
করমণ্ডলের বেলাইন হওয়া কামরা গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনের ওপর। ডাউন লাইনের ওপর আড়াআড়ি গিয়ে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা। ততক্ষণে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়েছে।
রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০-১২টি বগি বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলো ছিটকে পড়ে উল্টো দিকের লাইনে। কিছুক্ষণ পর উল্টো দিকের লাইন দিয়ে আসে হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে পড়া বগির ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩ থেকে ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

দুর্ঘটনা যে এলাকায় হয়েছে সেই এলাকাটি নির্জন। ফলে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় মানুষ ছুটে এসে উদ্ধারকাজে নামতে পারেননি। কিন্তু একটু সময় যেতেই হাজির হতে থাকেন আশপাশের বাসিন্দারা।

ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। কিন্তু সেই সময় মূল সমস্যা হয় আলোর অভাব। ট্রেনের কোনো আলো জ্বলছে না। তার উপর নির্জন এলাকা হওয়ায় ছিলো না সড়কবাতি।

টর্চ এবং মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পান, এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে দেহাংশ, যাত্রীদের জিনিসপত্র, খাবার। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কামরা থেকে ভেসে আসতে থাকে কান্না, চিৎকারের শব্দ। এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনা

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ভারতের ট্রেন দুর্ঘটনা

ভারতের ওড়িশায় যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ জন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন কীভাবে ঘটলো ভয়বহ এ দুর্ঘটনা।

তারা জানান, নির্ধারিত সময়েই হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ থেকে থেকে দক্ষিণ ভারত যাওয়ার জনপ্রিয় ট্রেনগুলোর মধ্যে অন্যতম করমণ্ডল এক্সপ্রেস। বহু মানুষ প্রতিদিন ওই ট্রেনে করে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যান চিকিৎসা করাতে।

ঘড়ির কাঁটা তখন ৭টা পেরিয়েছে। ওড়িশার বালেশ্বর স্টেশন পেরনোর পর আচমকাই বিকট শব্দ। ক্রমশ গতি কমতে থাকে করমণ্ডলের। একাধিক কামরা ডান দিকে হেলে পড়তে থাকে বিপজ্জনক ভাবে।

ট্রেনে উপস্থিত যাত্রীদের কয়েক জনের বক্তব্য, গতি কমার সঙ্গে সঙ্গেই কামরা হেলে যাওয়া টের পেতেই হুড়োহুড়ি শুরু কামরার মধ্যে। ততক্ষণে আরও খানিকটা হেলে গিয়েছে কামরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রায় এক কিলোমিটার পথ এ ভাবেই আস্তে আস্তে এগোতে থাকে ট্রেনটি।
করমণ্ডলের বেলাইন হওয়া কামরা গিয়ে পড়ে পাশের ডাউন লাইনের ওপর। ডাউন লাইনের ওপর আড়াআড়ি গিয়ে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা। ততক্ষণে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়েছে।
রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০-১২টি বগি বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলো ছিটকে পড়ে উল্টো দিকের লাইনে। কিছুক্ষণ পর উল্টো দিকের লাইন দিয়ে আসে হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে পড়া বগির ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেরও ৩ থেকে ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

দুর্ঘটনা যে এলাকায় হয়েছে সেই এলাকাটি নির্জন। ফলে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় মানুষ ছুটে এসে উদ্ধারকাজে নামতে পারেননি। কিন্তু একটু সময় যেতেই হাজির হতে থাকেন আশপাশের বাসিন্দারা।

ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। কিন্তু সেই সময় মূল সমস্যা হয় আলোর অভাব। ট্রেনের কোনো আলো জ্বলছে না। তার উপর নির্জন এলাকা হওয়ায় ছিলো না সড়কবাতি।

টর্চ এবং মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখতে পান, এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে দেহাংশ, যাত্রীদের জিনিসপত্র, খাবার। সেই সঙ্গে বিভিন্ন কামরা থেকে ভেসে আসতে থাকে কান্না, চিৎকারের শব্দ। এর কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত