নকলে বাধা, শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করলো ছাত্রীর বাবা

এস এম শরিফুল ইসলাম জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল
নকলে বাধা, শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করলো ছাত্রীর বাবা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার (৭ জুন) অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি বৃহস্পতিবার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকের মারপিটে গুরুতর আহত শিক্ষক সাইফুলকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যোগানিয়া গ্রামে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক সাইফুল বলেন, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রেয়া অপ্সরা তার বান্ধবীর খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর অপ্সরাকে উঠিয়ে অন্যত্র বসতে দিই। এ ঘটনা জানাজানির পর অপ্সরার বাবা সুফিয়ান শেখ ও দাদা আয়ন উদ্দীন শেখসহ ৪ থেকে ৫জন বিদ্যালয়ে এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে কিল-ঘুষি, লাথিসহ পেটানো শুরু করেন। প্রাণ ভয়ে দৌঁড়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে আশ্রয় নেই। সেখানে গিয়েও আমাকে মেরে গুরুতর আহত করেন তারা।

অভিযুক্ত আয়ন উদ্দীন শেখ বলেন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমার নাতি অপ্সরাকে মানসিক ভাবে হয়রানি করেছেন। তবে শিক্ষককে পেটানোর কথা অস্বীকার করেন তারা।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা হচ্ছে। তবে ঘটনার দিন সিসিটিভির ফুটেজ দেখাতে অনীহা করেন তিনি।

লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা শোনার পর আমি খোঁজখবর নিয়েছি। ভুক্তভোগী শিক্ষককে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী মামলা দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নকলে বাধা, শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করলো ছাত্রীর বাবা

নকলে বাধা, শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করলো ছাত্রীর বাবা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার (৭ জুন) অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি বৃহস্পতিবার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকের মারপিটে গুরুতর আহত শিক্ষক সাইফুলকে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের বাড়ি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার যোগানিয়া গ্রামে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক সাইফুল বলেন, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রেয়া অপ্সরা তার বান্ধবীর খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর অপ্সরাকে উঠিয়ে অন্যত্র বসতে দিই। এ ঘটনা জানাজানির পর অপ্সরার বাবা সুফিয়ান শেখ ও দাদা আয়ন উদ্দীন শেখসহ ৪ থেকে ৫জন বিদ্যালয়ে এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে কিল-ঘুষি, লাথিসহ পেটানো শুরু করেন। প্রাণ ভয়ে দৌঁড়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসে আশ্রয় নেই। সেখানে গিয়েও আমাকে মেরে গুরুতর আহত করেন তারা।

অভিযুক্ত আয়ন উদ্দীন শেখ বলেন, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম আমার নাতি অপ্সরাকে মানসিক ভাবে হয়রানি করেছেন। তবে শিক্ষককে পেটানোর কথা অস্বীকার করেন তারা।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা হচ্ছে। তবে ঘটনার দিন সিসিটিভির ফুটেজ দেখাতে অনীহা করেন তিনি।

লোহাগড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা শোনার পর আমি খোঁজখবর নিয়েছি। ভুক্তভোগী শিক্ষককে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।

লোহাগড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী মামলা দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত