বাংলাদেশে কোনো দল খেলতে এলে তাদের জন্য বেশিরভাগ সময়ই প্রস্তুত থাকে মিরপুর শেরে বাংলার নিচু ধীরগতির উইকেট। যে উইকেটে স্পিনাররাই সাধারণত সাহায্য পেয়ে থাকেন।
তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সম্ভবত ভিন্ন পরিকল্পনা বাংলাদেশের। এখন পর্যন্ত যেমন দেখা যাচ্ছে, তাতে ১৪ জুন থেকে শুরু টেস্টের জন্য ঘাসের উইকেট প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস এমন উইকেট নিয়ে কী ভাবছেন? বোলারদের নিয়ে তার পরিকল্পনাইবা কী? আজ (সোমবার) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন লিটন।
ঘাসের উইকেট নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া, ‘অনেক দিন ধরেই মিরপুরে যখন খেলা হয়, ঘূর্ণি উইকেটেই বেশিরভাগ হয়। তো আমাদের চ্যালেঞ্জ এটাই আমরা ঘাসের উইকেটে কীভাবে ভালো খেলি। এটাই এখন বিষয় যে, আমরা এখানে কীভাবে টিকে থাকতে পারি, বড় ইনিংস খেলতে পারি।’
আফগানিস্তানের মতো স্পিনশক্তিকে বলীয়ান দলের বিপক্ষে উইকেট ধীরগতির হবে না, এটাই স্বাভাবিক মনে করেন লিটন। তার কথা, ‘এরকম দলের সঙ্গে আপনি একটা নরমাল ইভেন উইকেটে খেলবেন, এটাই স্বাভাবিক। তো সেদিক থেকে বলব যে, আফগানিস্তানের অধিনায়ক যেটা বলেছে (ভালো পেসার থাকার কথা), আমাদের হাতেও খুব ভালো কোয়ালিটি পেস আক্রমণ আছে। তো দেখা যাক।’
লিটন মনে করেন, এমন উইকেটে পাঁচজন বোলার নিয়েই খেলবেন তারা। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার বলেন, ‘আপনি যখন ইভেন উইকেটে খেলবেন, আপনার হাতে পাঁচ বোলার না থাকলে কিন্তু খুব কঠিন। আমি সবসময় প্রেফার করি, যখন ইভেন উইকেটে খেলা হবে তখন দলে পাঁচটা বোলার নিতে।’
টস জিতলে বাংলাদেশ প্রথমে কি নেবে? টাইগার অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন, পেস সহায়ক উইকেট হলে বোলিংই নেবেন তারা। লিটন বলেন, ‘প্রথমত, যে কন্ডিশন দেখছি, ওভারকাস্ট, স্বাভাবিক বিষয় যে কোনো দল কোন সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা আপনারাও বলে দিতে পারেন। সিমিং কন্ডিশন হবে, ওভারকাস্ট কন্ডিশনে সেটার ফায়দা প্রথম ঘণ্টায় সবাই তুলতে চাইবে।’
আফগানদের নতুন খেলোয়াড়দের তথ্য না থাকা ভোগাবে কিনা? এমন প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে, তাদের সম্পর্কে ধারণাটা থাকে। কিন্তু নতুন মুখ হলে দেখার একটাই সুযোগ থাকে, যে ফরম্যাটগুলো তারা খেলেছে, ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি; আপনি একটা বোলারের অ্যাকশন ছাড়া আর বেশি কিছু দেখতে পাবেন না। তার সেরা সেরা ডেলিভারিগুলোই আমরা দেখি। সে কী কী করতে পারে, এটা দেখি। এছাড়া আমাদের সামনে পথ খোলা নেই আর।’