প্রায় দেড় লাখ গবাদিপশু নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সাড়ে সাত হাজার খামারী। কোরবানী উপলক্ষে বছর জুড়ে লালন-পালন করা গবাদিপশু বিক্রির মাধ্যমে লাভবান হতে চান তারা। খুচরা ক্রেতা ও বেপারিদের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন ছোট-বড় খামারী। এদিকে ক্রেতারা বলছেন, চলতি বছর পশুর দাম আকাশছোঁয়া।
গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা অনন্ত পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবে এ বছরও বৃদ্ধি পেয়েছে চাহিদা। চলতি বছরে কোরবানীর জন্য গবাদিপশুর চাহিদা প্রায় ৯০ হাজার। এর বিপরীতে জেলার খামারীরা পশু পালন করেছেন এক লাখ ৩৮ হাজার। যার মধ্যে গরু-মহিষ ৪৫ হাজার এবং ছাগল রয়েছে ৯৩ হাজার।
পশু খামারীদের দাবী, খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর পশু পালনে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অন্য বছরের তুলনায় পশুর দাম না বাড়লে তাদের লোকশানের শংকা রয়েছে। অন্যদিকে ক্রেতার বলছেন, হাটে এবং খামারে ক্রেতারা যে দাম হাকছেন তা সাধারণের নাগালের বাইরে।
প্রাণী সম্পদ বিভাগের মতে, জেলায় স্থানীয় চাহিদার চেয়ে অন্তত ৫০ হাজার গবাদিপশু বেশি রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায় বিক্রি করা হবে। ক্রেতা ও খামারীদের সার্বিক সহযোগিতায় সর্বদা তৎপর রয়েছে তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিহির কান্তি বিশ^াস বলেন, কোরবানীর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সহযোগিতার জন্য বরাবরের মতোই কাজ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।