চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল ও তার পিতা ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। শতাধিত নারী-পুরুষ শুক্রবার সকালে গ্রামের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নেয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ আব্দুল জলিল ও তার পিতা ইসলাম উদ্দিন একাধিক ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানো ও বিদেশে অবস্থানরতদের বৈধতার কাগজ করে দেয়ার নামে প্রতারণা করেছেন। এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগীর স্ত্রী-সন্তান তাদের পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে মারধোর ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
মানববন্ধনে গ্রামের সাজু আহমেদ সজল অভিযোগ করেন, সৌদি প্রবাসী আব্দুল জলিল ও তার পিতার প্রলোভনে পরে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে সৌদি যান তিনি। পরে সেখানে তাকে কোনো কাজ না দিয়ে মরুভূমিতে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং বাড়তি টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে তিনি বাড়িতে যোগাযোগ করে পরিবারের পাঠানো টাকায় দেশে ফিরে আসেন।
গ্রামের মো. জুলহাসের স্ত্রী বিলকিস খাতুন বলেন, তার স্বামীও সৌদী আরবে আছেন। অনুমান আড়াইমাস আগে আকামা তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশী টাকার হিসেবে জুলহাসের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নেন আব্দুল জলিল। পরে তিনি আকামা না করে ওই টাকা আত্মসাত করেন। জুলহাসের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার আব্দুল জলিল দেশে ফিরে টাকা ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেন। তিনদিন আগে আব্দুল জলিল দেশে ফিরে ভুলটিয়া গ্রামে নিজেদের বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে টাকা ফিরে পেতে আব্দুল জলিলের বাড়িতে গেলে তিনি বিলকিস খাতুনকে মারধোর করেন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার পরনের কাপড় টানা-হ্যাচড়া করে বে-আব্রæ করে শালিনতাহানি করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, আব্দুল জলিল গং পাশের কোলা গ্রামের রাশিদুলের কাছে ৫ লাখ ৮০ হাজার এবং দখলপুর গ্রামের জামালের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে একইভাবে প্রতারণা করেছেন। গ্রামবাসী বলেন, অভিযুক্তরা এলাকার অন্তত ১৫ জনের সাথে একইভাবে প্রতারণা করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল জলিল ও তার পিতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইলফোন রিসিভ করেননি।
