যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে সন্দেহজনক একধরনের সাদা পাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির ফায়ার সার্ভিস এই পাউডারকে কোকেন হিসেবে শনাক্ত করেছে।
রবিবার (২ জুলাই) রাতে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং থেকে এ কোকেন উদ্ধার করা হয়।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
হোয়াইট হাউসের এক্সিকিউটিভ ম্যানশনে থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই ভবনের লাগোয়া ওয়েস্ট উইং ভবনটি। যেখানে ওভাল অফিস, কেবিনেট রুম ও প্রেস এরিয়া রয়েছে। জায়গাটিতে নিয়মিত বহু দর্শনার্থী যাতায়াত করেন।
যদিও ওই ঘটনার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার বাসভবনে ছিলেন না। পরিবার নিয়ে ক্যাম্প ডেভিডে ছুটিতে ছিলেন তিনি।
বিবিসি জানায়, রাতের দিকে নিয়মিত পরিদর্শন করার সময় সাদা পাউডার সদৃশ উপাদান খুঁজে পান সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা। তখনই কিছুক্ষণের জন্য হোয়াইট হাউসের ওই অংশ খালি করে ফেলা হয়।
এদিকে এ ঘটনার পরে ফায়ার ও জরুরি সেবা দপ্তরের কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসে গিয়ে ওই পাউডার পরীক্ষা করেন। এতে প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত হন, সেটি আসলে নিষিদ্ধ মাদক কোকেন।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে বলেছেন, “হোয়াইট হাউসের কর্মী ও অতিথিরা মোবাইল ফোন সংরক্ষণের জন্য নিয়মিতভাবে যে তাক ব্যবহার করেন, সেখানেই ওই কোকেন পাওয়া যায়।”
গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, কোকেন উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সেখানে কে কে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও অন্যান্য নথি যাচাই করে দেখা হবে।
ইউএস ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুসারে, নিয়ন্ত্রিত পদার্থ আইনের অধীনে কোকেন তফসিল দুই জাতীয় একটি মাদক, যার অর্থ অপব্যবহারের উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি বলেন, “ওয়েস্ট উইংয়ে ওই পাউডার পাওয়া যায়। ফায়ার বিভাগ সেটিকে বিপজ্জনক নয় বলে জানিয়েছে। এটি কীভাবে হোয়াইট হাউসে ঢুকলো সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।”