বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বরিশালে ফিরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপ। এ সময় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরীর কাশিপুর পেট্রোলপাম্প এলাকায় এই সংঘর্ষ ঘটে। দুই গ্রুপই বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর (খোকন সেরনিয়াবাত) অনুসারী বলে জানা গেছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম সুবেহ, একই ওয়ার্ডের ফাইজুল ইসলাম, আশিক, সাজ্জাদ হোসেন, ফরহাদউদ্দিন, মাহাদি, মাসুদ, হাসান, তুহিন, রাহাত।
নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরান মোল্লা জানান, টুঙ্গীপাড়া খাবার দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। তারা কাশিপুর পেট্টোলপাম্পে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তবে কে কোন পক্ষের সেটা জানেন না বলে দাবি করেছেন এই সিটি করপোরেশনের এই জনপ্রতিনিধি।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানিয়েছে, টুঙ্গীপাড়ায় কোমলপানীয় পান করা নিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ানের অনুসারী মাহাদের সাথে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম সুবেহের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
এর সূত্রে ধরে সন্ধ্যায় টুঙ্গীপাড়া থেকে ফেরার পথে নগরীর গড়িয়ারপাড় এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা জাকারিয়ার লোকজন নেতাকর্মীদের বহনকারী বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে ঘটনাস্থলেই দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে।
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিয়াজ ভুঁইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুইটি পক্ষ হয়ে মারামারি করেছে। উভয়পক্ষের আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে কোন অনুসারীর বিষয় নেই।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনোপক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।