বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ২০২৩ সালের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে।
তথ্য বলছে, কোভিড-১৯ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে ৩.৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা ১৯.১৬% কম।
২০২২ সালের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ৪.০৯ বিলিয়ন ডলার।
চলতি ক্যালেন্ডার বছরের শেষ পাঁচ মাসে সামগ্রিক মার্কিন পোশাক আমদানি ২২.৯২% কমে ৩১.৫১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
২০২২ সালের জানুয়ারি-মে সময়কালে তাদের পোশাক-আমদানিতে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলার।
সামগ্রিক অর্থনৈতিক পতন হলেও, বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে অন্য প্রতিযোগীদের তুলনায় কিছুটা ভালো করেছে।
বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানি একই সময়ে যথাক্রমে ৩০.৪৪% এবং ২৮.০৭% কমেছে।
শিল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বলেছেন, “অন্যান্য প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশ এখনও তুলনামূলকভাবে ভাল অবস্থানে রয়েছে। যা উচ্চ শতাংশে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে।”
তারা বলেছে, “চীন থেকে মার্কিন ক্রেতাদের সরে আসা ও চীন-প্লাস নীতির কারণে বাংলাদেশও উপকৃত হয়েছে।”
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চাহিদাকে প্রভাবিত করেছে, যার ফলে সাম্প্রতিক মাসে ক্রেতাদের উচ্চ দাম ও কাজের আদেশ হ্রাস পেয়েছে।
তথ্য বলছে, ২০১৩ সালে মার্কিন পোশাকের বাজারে চীনের অংশ ছিল ৩৭.৩২%, যা ২০২২ সালে আনুমানিক ২১.৭৫%-এ নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের শেয়ার ২০১৩ সালে মাত্র ৬.২০% থেকে বেড়ে গত বছর ৯.৭৫% হয়েছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি-মে সময়ের মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ৫.৭৬ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ে ৮.২৮ বিলিয়ন ডলার৷ ছিল।
এই সময়ে ভিয়েতনাম ৫.৪৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আইটেম রপ্তানি করেছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের মধ্যে ৭.৬৩ মিলিয়ন ডলার থেকে কমেছে।
এদিকে, এই সময়ের মধ্যে ভারত থেকে মার্কিন পোশাক আমদানি ২০.৮০% থেকে ২.১৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে। যেখানে কম্বোডিয়ার রপ্তানি আয় ৩৪.৪২% কমে ১.১৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।