মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানার মামলায় মডেল ও সাবেক টিভি উপস্থাপিকা ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশের এএসআই জেসমিন আক্তার। আগামী ১৭ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি।
তবে এদিন সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
১১ জানুয়ারি আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালতের বিচারক। মামলায় পিয়াসা বর্তমানে জামিনে আছেন।
পিয়াসাকে ২০২১ সালের ১ আগস্ট রাতে ঢাকার বারিধারার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা পাওয়ার কথা বলা হয় সে সময়।
সেদিন মোহাম্মদপুর থেকে আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকেও আটক করা হয়। তখন গোয়েন্দা পুলিশ বলেছিল, পিয়াসা ও মৌ বাড়িতে “পার্টি” করে বিভিন্নজনকে আমন্ত্রণ জানাতেন, সেই ছবি তুলে রেখে পরে তাদের “ব্ল্যাকমেইল” করতেন।
গুলশান থানায় করা মামলায় পিয়াসাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ডে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৫ আগস্ট নগরীর ভাটারা এলাকা থেকে ৭ হাজার ২০০ ইয়াবা জব্দ করার কথাও সে সময় জানায় পুলিশ।
ওই ঘটনায় পিয়াসা ও তার সহযোগী শারফুল হাসান ওরফে মিশু হাসানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অধীনে ভাটারা থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।
সিআইডির পরিদর্শক মো. আব্দুল লতিফ ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
সেখানে তিনি বলেন, পিয়াসা বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং অপরাধের জন্য তাকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
তবে ফারিয়া মাহাবুবের আইনজীবী হাসান জহির আদালতে লিখিতভাবে বলেছেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে।
পিয়াসা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের সাবেক স্ত্রী। ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের ৬ মে সাফাত গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত। ওই মামলায় পরে খালাস পান সাফাত।