তিনদিন পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বরে চলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অনশন ভাঙালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক মাসুদুর রহমানকে শরবত পান করানোর মধ্য দিয়ে অনশন শেষ হয়। গত মঙ্গলবার থেকে সংগঠনের নেতাকর্মিরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর দাবিতে আমরণ অনশন করে আসছিলেন।
অনশনকারীরা বলেন, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চুয়াডাঙ্গায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা একটি নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স ও জনবলের অভাবে নতুন ভবনে যথাযথ চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হয়নি। জেলাবাসীর প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে আমরা অনশন থেকে বিরত থাকবো। আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের যথাযথ পদক্ষেপ না হলে আবারও আমরণ অনশন শুরু করবো।
জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, যেসব দাবি উপস্থাপন করে অনশন করা হয়েছে সে দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ৬ তলা ভবন নির্মাণ হলেও জনবলের অভাবে বিপুল পরিমাণ রোগী চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনশনকারী দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষেদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম ভূঁইয়া, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন।