কুষ্টিয়ার মিরপুরে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন এস এম আর কিরণ নামে এক কৃষক। মাত্র ২০ শতক জমিতে ১১ হাজার টাকা খরচ করে শসা চাষ করেছিলেন তিনি। বীজ রোপণের দুই মাসের মাথায় ৭৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছেন; আরও ৭৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি উপযোগী রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিরণ উপজেলার কেউপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় “দিশা” নামে একটি বেসরকারি সংস্থা তাকে মালচিং পদ্ধতিতে চাষের ব্যাপারে সহায়তা করে। এর আগে একই জমিতে তিনি বারমাসী তরমুজ চাষ করেছিলেন। শসায় তুলনামূলক লাভ বেশি হওয়ায় এখন শসা চাষের জমি বাড়ানোর কথা ভাবছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, কিরণের জমিতে উৎপাদিত শসা স্থানীয় বাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরে বিক্রি হচ্ছে। তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষক কিরণ বলেন, “মাত্র ২০ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি করে শসার বীজ রোপণ করেছিলাম। চারা একটু বড় হওয়ার পর মাঁচায় উঠিয়ে দিই। জমি তৈরি, বীজ সংগ্রহ ও সার মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ১১ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছি। আরও এক মাস শসা তুলতে পারবো। তাতে করে আরও ৭৫ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেতে পারবো বলে আশা করছি।”
স্থানীয় সংস্থা “দিশা”র কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, “এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে জমিতে পলিথিনের মালচিং সেড ব্যবহার করা হয়। ফলে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে খরচও কম।”
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাল্লহ আল মামুন বলেন, “কৃষক কিরণ চলতি বছরের শুরুতে তরমুজ চাষ করেছিলেন। এবার শসা চাষ করে সফল হয়েছেন। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি।”