আমিদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার অসুবিধা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, টাকার মান কমে যাওয়া ও যানবাহনের উচ্চমূল্যসহ বেশ কয়েকটি কারণে দেশে গত ছয় মাসে গাড়ি বিক্রি কমেছে।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০৩টি মোটরযান নিবন্ধন দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ৩০ হাজার ৮৩টি গাড়ি নিবন্ধন হয়েছে। অন্যদিকে ২০২২ সালে সংস্থাটি থেকে সব মিলিয়ে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৫১টি গাড়ি নিবন্ধন হয়েছিল। প্রতি মাসে গড়ে নিবন্ধিত গাড়ির সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ১৭৯। গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩৭.৫৬% গাড়ি কম নিবন্ধন হয়েছে।
বিআরটিএর তথ্য বলছে, এ বছরের প্রথম ছয় মাসে গত বছরের তুলনায় মোটরসাইকেলের নিবন্ধন কমেছে প্রায় ৩৯%। এ বছর প্রতি মাসে গড়ে নিবন্ধন হয়েছে ২৫ হাজার ৮৩৮টি মোটরসাইকেল। প্রাইভেটকারের নিবন্ধন কমেছে ৩৬%। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৩৩০টি প্রাইভেটকার কম নিবন্ধন দিয়েছে বিআরটিএ।
এছাড়া বিলাসবহুল গাড়ি (জিপ) নিবন্ধন কমেছে ২৪% এর বেশি। মাইক্রোবাসের নিবন্ধন কমেছে ২৮% এর বেশি। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে নিবন্ধিত মাইক্রোবাসের সংখ্যা ২ হাজার ৬১৬টি।
অন্যান্য যানবাহনের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের নিবন্ধন কমেছে প্রায় ৪৮%। কাভার্ড ভ্যান ও ডেলিভারি ভ্যানের নিবন্ধন কমেছে প্রায় ৫৯%। আর ট্রাক নিবন্ধন কমেছে প্রায় ৪৭%।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যাল ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) মহাসচিব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার অসুবিধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন গাড়ি বিক্রিতে প্রভাব ফেলেছে।
এছাড়া জ্বালানির দাম বৃদ্ধিও গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি পরামর্শ দেন, বিক্রয় বাড়ানোর জন্য অটোমোবাইল আমদানি শুল্ক কাঠামো সংস্কার করা দরকার। এছাড়া আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশেই গাড়ি উত্পাদনের আহ্বান জানান তিনি।