গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপেক্ষিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাউকে কোন পদে রাখা হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হামজা রহমান অন্তরকে উপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বা রাজনৈতিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকলে তাঁদেরকে ক্যাম্পাস রাজনীতিতে একঘরে করে রাখা হয়। ক্ষেত্রবিশেষে যাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে তাঁদেরকে হলের রাজনৈতিক ব্লক থেকে নামিয়ে দেওয়ার ও অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে করে শাখা ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। যার ফলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের এক ধরনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ না পাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এই দূরত্বকেই দুষছেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা।
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ একটা গতিশীল ইউনিট ছিলো। এক সময় এই শাখা থেকেই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতিও হয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতিশীলতা কমছে শাখা ছাত্রলীগের। অন্যদিকে কেন্দ্র থেকেও কমেছে মূল্যায়ন। যার কারনে কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপেক্ষিত হচ্ছে।
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন,” জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বাংলাদেশের অন্যতম একটা ইউনিট যেখান থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি পর্যন্ত হয়েছে। এতো শক্তিশালী একটা ইউনিট থেকে মাত্র একজনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ দিয়েছে। যা আমাদের জন্য দুঃখজনক এবং বিব্রতকর। ছাত্রলীগের মধ্যে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উচিত ঢাকার আশেপাশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করা।”
কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে পদ না পাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, “কেন্দ্র থেকে যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে। আমাদের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন, হয়তোবা সামনে ভালো কিছু তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা আশা করবো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ জাবি ছাত্রলীগের প্রতি সুদৃষ্টি রাখবেন। ”