বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশ মাছ রপ্তানি করে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে ঢাকার মৎস্যভবনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবার ২৪-৩০ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, দেশে ৪৭.৫৯ মেট্রিক লাখ টন মাছ উৎপাদিত হয়। ২০৪১ সালে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন।
এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দুই কোটি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছ রপ্তানি করে ৪,৭৯০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে। এই অর্থবছরে প্রায় ৭০,০০০ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, মাছের মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি উৎপাদিত মাছ নিরাপদ করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে। ইতিমধ্যে মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়েছে। সমুদ্রসীমাসহ অন্য জায়গায় যারা মাছ ধরার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের প্রতিটি নৌযানে যান্ত্রিক পদ্ধতি সংযোজন করা হচ্ছে, যাতে তাদের পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখা যায়। পাশাপাশি মাছ ধরার কোনো নৌযান দুর্ঘটনায় পড়লে, সেটির অবস্থান জানার জন্যও এ পদ্ধতি কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, মাছ থেকে চিপস, কেকসহ অন্যান্য মৎস্যজাত পণ্য তৈরি করলে ভোক্তা বাড়বে। মাছের বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে কাজ করলে সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে কৃষিঋণ, প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ সরকার নানা রকম সহায়তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে। এছাড়া বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশ তৃতীয়, বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম এবং তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান মৎস্যমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ।