রাজস্থলীতে পুরো উপজেলায় কৃতকার্য ২৭১ জনের কেউই পায়নি জিপিএ-৫

মোঃ হাবীবুল্লাহ মিসবাহ স্টাফ রিপোর্টার, রাঙ্গামাটি
রাজস্থলীতে পুরো উপজেলায় কৃতকার্য ২৭১ জনের কেউই পায়নি জিপিএ-৫

রাঙামাটির রাজস্থলীতে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী অবহেলায় পাশের হার নিম্নমুখী। গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষা ২০২৩ এ দেখা যায় রাজস্থলী উপজেলার ৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৬০৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে মাত্র ২৭১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪০ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয় ৭৬ জন। পাশের হার ৫২.৭৮ ভাগ। বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০৫ জনের মধ্যে ১৩১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। পাশের হার ৪২.৯৫ ভাগ। রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক বিদ্যালয় থেকে ৪০ জনের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। পাশের হার ৬৭.৫০। গাইন্দ্যা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৯ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয় মাত্র ৩৭ জন। পাশের হার ৩১.০৯ ভাগ। কৃতকার্য ২৭১ জনের কেউই জিপিএ-৫ পায়নি।

অন্যদিকে ভোকেশনাল থেকে মাত্র একটি কেন্দ্রে ১১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করে ৮৬ জন। এতে পাশের হার শতকরা ৭০.৯৯ ভাগ।

ফলাফলের এমন হতাশাজনক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এজেড নিউজ বিডিকে জানান, এসএসসি পরীক্ষার এই ফলাফল আসলে রাজস্থলী উপজেলার জন্য খুবই লজ্জাজনক। এই অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার জন্য তিনি কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করেছেন যার মধ্যে সন্তানদের পড়ালেখার বিষয়ে অভিভাবকদের অসচেতনতা, পাঠদানে শিক্ষকদের অবহেলা এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি অনাগ্রহ মনোভাবকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান চললেও যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নেই সেসব বিদ্যালয়েও তেমন একটা ভালো ফলাফল করতে পারে নি। যা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি রাজস্থলীতে আসার পর থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদটি খালি রয়েছে। এতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে পুরোপুরি ব্যঘাত ঘটছে। আমি জেলার বিভিন্ন মিটিংয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে অবগত করলেও এই বিষয়ের কোন সুরাহা হয়নি।

পরীক্ষায় পাশের হার বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ করে ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সমাবেশ করার চেষ্টা করছি। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো অভিভাবকদের নিজ সন্তানদের পড়ালেখার প্রতি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখতে হবে। আর শিক্ষকদের পাঠদানে মনোযোগী হতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজস্থলীতে পুরো উপজেলায় কৃতকার্য ২৭১ জনের কেউই পায়নি জিপিএ-৫

রাজস্থলীতে পুরো উপজেলায় কৃতকার্য ২৭১ জনের কেউই পায়নি জিপিএ-৫

রাঙামাটির রাজস্থলীতে শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী অবহেলায় পাশের হার নিম্নমুখী। গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষা ২০২৩ এ দেখা যায় রাজস্থলী উপজেলার ৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মোট ৬০৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে মাত্র ২৭১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪০ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয় ৭৬ জন। পাশের হার ৫২.৭৮ ভাগ। বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০৫ জনের মধ্যে ১৩১ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। পাশের হার ৪২.৯৫ ভাগ। রাজস্থলী উপজাতীয় আবাসিক বিদ্যালয় থেকে ৪০ জনের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। পাশের হার ৬৭.৫০। গাইন্দ্যা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১১৯ জনের মধ্যে কৃতকার্য হয় মাত্র ৩৭ জন। পাশের হার ৩১.০৯ ভাগ। কৃতকার্য ২৭১ জনের কেউই জিপিএ-৫ পায়নি।

অন্যদিকে ভোকেশনাল থেকে মাত্র একটি কেন্দ্রে ১১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাশ করে ৮৬ জন। এতে পাশের হার শতকরা ৭০.৯৯ ভাগ।

ফলাফলের এমন হতাশাজনক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এজেড নিউজ বিডিকে জানান, এসএসসি পরীক্ষার এই ফলাফল আসলে রাজস্থলী উপজেলার জন্য খুবই লজ্জাজনক। এই অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার জন্য তিনি কয়েকটি বিষয়কে দায়ী করেছেন যার মধ্যে সন্তানদের পড়ালেখার বিষয়ে অভিভাবকদের অসচেতনতা, পাঠদানে শিক্ষকদের অবহেলা এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি অনাগ্রহ মনোভাবকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান চললেও যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নেই সেসব বিদ্যালয়েও তেমন একটা ভালো ফলাফল করতে পারে নি। যা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি রাজস্থলীতে আসার পর থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের পদটি খালি রয়েছে। এতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে পুরোপুরি ব্যঘাত ঘটছে। আমি জেলার বিভিন্ন মিটিংয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠিতে অবগত করলেও এই বিষয়ের কোন সুরাহা হয়নি।

পরীক্ষায় পাশের হার বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ করে ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সমাবেশ করার চেষ্টা করছি। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো অভিভাবকদের নিজ সন্তানদের পড়ালেখার প্রতি প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখতে হবে। আর শিক্ষকদের পাঠদানে মনোযোগী হতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত