দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন
বাজার

মাছ, মাংস, ডিমের পাশাপাশি কাঁচা বাজারে প্রায় সব সবজির দামই বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ। ৪০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি বাড়ছে আদা-রসুন-পেঁয়াজের দামও।

ক্রেতারা বলছেন, সব পণ্যই নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় সাংসারিক খরচ নিয়ে তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর এক নম্বর এলাকার কাঁচা বাজারে দেখা যায়, সেখানে প্রায় প্রতিটি সবজিই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক সবজির দাম ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুর্মূল্যের বাজারে সবচেয়ে সস্তায় মিলছে কাঁচা পেঁপে। তবে সেটি কিনতেও পকেটে ৪০ টাকা রাখা লাগবে।

কেজিতে লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, গোল বেগুন ১২০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০, পটল ৬০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৫০-১৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা। প্রতি পিস লাউ ৮০ টাকা ও চাল কুমড়া ৭০-৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা, দেশি আদা ২২০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ক্রস জাতের পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা করে বেড়েছে। দেশি ও ইন্দোনেশিয়ার আদার দাম যথাক্রমে ২০ ও ৪০ টাকা এবং চায়না রসুনের দাম ১০ টাকা বেড়েছে।

বাজার করতে আসা চাকরিজীবী মো. কবির হোসেন বলেন, “চড়া মূল্যের বাজারে সব কিছুর দামই বেশি। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের সাংসারিক খরচ নিয়ে নতুনভাবে হিসাব করতে হচ্ছে। আমি ভাবতে পারছি না যাদের আয় আমাদের চেয়েও কম, তারা কীভাবে চলছে।”

আরেক ক্রেতা বলেন, “খাবারের পেছনে আমাদের খরচ কমিয়ে আনতে হয়েছে। আগে যদি মাসে ১০ দিন মাংস দিয়ে খেতাম, এখন হয়তো সেটা ৫ দিন খাচ্ছি। এভাবেই খরচ কমাতে হয়েছে।”

কাঁচাবাজারের মতো মাছের বাজারেও আগুন জ্বলছে। কেজিপ্রতি ইলিশ মাছ ১৫০০-২০০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কাতল মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ১০০০-১৬০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৭০০ টাকা, কৈ মাছ ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০-৭৫০ টাকা, বেলে মাছ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে কেজিতে ব্রয়লার মুরগি ১৬৭-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৯০-৩০০, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ডজনপ্রতি মুরগির ডিম (লাল ডিম) ১৫০ টাকা ও সাদা ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মুদি দোকানের পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছ কিনতে আসা ফরিদ উদ্দিন বলেন, “এখন এমন একটা অবস্থা চলছে যে মাছ কিনবো নাকি মাংস কিনবো ভেবে পাই না। কারণ দুটোর দামই তো বেশি। আগে ভাবতে পারতাম মাংসের দাম বেশি হলে মাছ কেনার কথা ভাবতাম, কিন্তু এখন আর তা ভাবতে পারি না।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এসেছে পরিবর্তন
বাজার

মাছ, মাংস, ডিমের পাশাপাশি কাঁচা বাজারে প্রায় সব সবজির দামই বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ জনগণ। ৪০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি বাড়ছে আদা-রসুন-পেঁয়াজের দামও।

ক্রেতারা বলছেন, সব পণ্যই নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় সাংসারিক খরচ নিয়ে তাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর এক নম্বর এলাকার কাঁচা বাজারে দেখা যায়, সেখানে প্রায় প্রতিটি সবজিই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক সবজির দাম ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুর্মূল্যের বাজারে সবচেয়ে সস্তায় মিলছে কাঁচা পেঁপে। তবে সেটি কিনতেও পকেটে ৪০ টাকা রাখা লাগবে।

কেজিতে লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, গোল বেগুন ১২০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, উচ্ছে ৮০, পটল ৬০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৫০-১৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা। প্রতি পিস লাউ ৮০ টাকা ও চাল কুমড়া ৭০-৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা, দেশি আদা ২২০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ক্রস জাতের পেঁয়াজ ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা করে বেড়েছে। দেশি ও ইন্দোনেশিয়ার আদার দাম যথাক্রমে ২০ ও ৪০ টাকা এবং চায়না রসুনের দাম ১০ টাকা বেড়েছে।

বাজার করতে আসা চাকরিজীবী মো. কবির হোসেন বলেন, “চড়া মূল্যের বাজারে সব কিছুর দামই বেশি। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের সাংসারিক খরচ নিয়ে নতুনভাবে হিসাব করতে হচ্ছে। আমি ভাবতে পারছি না যাদের আয় আমাদের চেয়েও কম, তারা কীভাবে চলছে।”

আরেক ক্রেতা বলেন, “খাবারের পেছনে আমাদের খরচ কমিয়ে আনতে হয়েছে। আগে যদি মাসে ১০ দিন মাংস দিয়ে খেতাম, এখন হয়তো সেটা ৫ দিন খাচ্ছি। এভাবেই খরচ কমাতে হয়েছে।”

কাঁচাবাজারের মতো মাছের বাজারেও আগুন জ্বলছে। কেজিপ্রতি ইলিশ মাছ ১৫০০-২০০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কাতল মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ১০০০-১৬০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৭০০ টাকা, কৈ মাছ ৫০০ টাকা, পাবদা মাছ ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৫০০-৭০০ টাকা, বোয়াল ৬৫০-৭৫০ টাকা, বেলে মাছ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে কেজিতে ব্রয়লার মুরগি ১৬৭-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৯০-৩০০, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ডজনপ্রতি মুরগির ডিম (লাল ডিম) ১৫০ টাকা ও সাদা ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মুদি দোকানের পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাছ কিনতে আসা ফরিদ উদ্দিন বলেন, “এখন এমন একটা অবস্থা চলছে যে মাছ কিনবো নাকি মাংস কিনবো ভেবে পাই না। কারণ দুটোর দামই তো বেশি। আগে ভাবতে পারতাম মাংসের দাম বেশি হলে মাছ কেনার কথা ভাবতাম, কিন্তু এখন আর তা ভাবতে পারি না।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত