অপরাধীদের আটকের পর কিংবা সাজা দেওয়া হলে কারগারে রাখা হয়। বিখ্যাত, কুখ্যাত নানা কারাগারের নাম অনেকেরই জানা। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংলিশ চ্যানেলের একটি কারাগার খ্যাতি পেয়েছে ভিন্ন কারণে। এটিকেই বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট কারাগার।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম ইংলিশ চ্যানেলের ২.১ বর্গমাইলের ভূখণ্ড সার্ক দ্বীপ। ওই দ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র ৫০০ জন।
১৮৫৬ সালে সেখানেই ৬ ফুট বাই ৬ ফুট ও ৬ ফুট বাই ৮ ফুট দুটি কারাগার গড়ে তোলা হয়। যার সামনে ৩ ফুট চওড়া ছোট একটি করিডোর রয়েছে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট এই কারাগারে কোনো জানালা নেই।
কারাগারের সেলের মধ্যে একটি করে কাঠের তক্তার খাট রয়েছে। তার ওপর পাতলা তোশক পাতা আছে। কাউকে দুইদিন আটক রাখার প্রয়োজন হলে এই কারাগারে রাখা হয়। যেখানে দুইজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
চ্যানেল আইল্যান্ডের এই কারাগারই বিশ্বের সবচেয়ে ছোট কারাগার। যেটি এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই কারাগারে প্রথম বন্দি হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। যিনি তার প্রেমিকার একটি পকেট রুমাল চুরি করেছিলেন।
আর এই দ্বীপে সবশেষ বড় অপরাধ ঘটেছিল ১৯৯০ সালে। তখন আন্দ্রে গার্ডেস নামের একজন ফরাসি পারমাণবিক পদার্থবিদ একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফ্রান্স থেকে দ্বীপে (২৫ মাইল) এসেছিলেন। তিনি সার্কের লর্ড ছিলেন। দ্বীপটি এখন তার শাসনাধীন।
স্থানীয় এক পুলিশ সদস্যের মুখে ঘুষি মারার কারণে তীরে আসার পরদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছোট্ট দ্বীপে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেন পুলিশ সদস্যরা। ২০২২ সালে সহকারী কনস্টেবল হিসেবে বিদায় নেওয়া পিসি মাইক ফাওসন বলেন, দ্বীপে অপরাধীতে ভরে গেছে। এখন পুলিশ কর্মকর্তাদের পিপার স্প্রে দেওয়া উচিৎ।
তিনি বলেন, মাদক পাচার, অ্যালকোহলের কারণে সহিংসতা ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো থেকে বহু অপরাধ নিয়মিত ঘটছে।
সার্কের বাসিন্দাদের ঘোড়া ও গাড়ি চালানোর অনুমতি রয়েছে। তবে বড় গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। এছাড়া ট্রাক্টর চালানোর অনুমতি রয়েছে। আর বয়স্ক ও অক্ষম ব্যক্তিরা ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালাতে পারেন।